অসমের বাংলা লিটল ম্যাগাজিন : ছোটগল্প চর্চার প্রেক্ষাপট ও ক্রমবিকাশ
- জ্যোতির্ময় সেনগুপ্ত
অসমে বাংলা ছোটগল্পের চর্চা বহুদিনের। মুলত লিটল ম্যাগাজিন ও দৈনিক-সাপ্তাহিক পত্রিকানির্ভর এই চর্চা বৃহত্তর বাঙালি পাঠকের কাছে তেমনভাবে এখনও পোঁছয়নি। কয়েকজন গল্পকারের নামই শুধু জ্ঞানচর্চার জগতে আজকাল ঘোরাফেরা করে। এদের গল্প নিয়ে আলোচনা তো একান্তই দুর্লভ। এই বইটিতেই প্রথম অসমের বাংলা লিটল ম্যাগাজিন চর্চা ও বাংলা ছোটগল্পের বিকাশ নিয়ে আলোচনা হল। গত শতকের সত্তরের দশক থেকে একুশের প্রথম দশক পর্যন্ত অসমের গল্পচর্চার ছবি ফুটে উঠেছে এই গ্রন্থে। অসমের বাংলা লিটল ম্যাগাজিনগুলোর একটা তালিকা আছে এ বইতে। ভাষা আন্দোলন ও বিদেশি বিতাড়ন আন্দোলনের মতো বিপ্রতীপ বাতাবরণে এখানকার গল্পচর্চা একটা বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। ‘পু-ঘোষ’, ‘মনসুর মিঞাকে সমর্থন করবেন না’, ‘আসরাফ আলির স্বদেশ’, ‘সন্তোষ বিশ্বাসের গল্প’, ‘৬ই ডিসেম্বর', ‘একটি নীল ছবি', ‘কয়েকটি মুখ’, ‘হননেচ্ছা’ ইত্যাদি অনেক গল্পই এখানে আলোচিত হয়েছে, যেগুলো বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় চিরস্থায়ী আসন লাভের যোগ্য।
জন্ম ১৯৬৭ সালে, গুয়াহাটিতে। ছোটবেলা কেটেছে ছোট্ট সুন্দর রেলশহর লামডিং-এর সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। পেশা শিক্ষকতা, নেশা বাংলা ও অসমিয়া কথাসাহিত্য। গুয়াহাটির প্রাগজ্যোতিষ কলেজে প্রতিষ্ঠিত ‘লিটল ম্যাগাজিন ষ্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’-এর সঞ্চালক। ‘বনফুল’ নামে একটি অনুগল্প পত্রইকা সম্পাদনা করেন কিছুদিন। রাজকুমার মুখোপাধ্যায় সম্পাদিক ‘ভারতজোড়া কথনকথা’ এবং অন্যান্য গ্রস্থে তাঁর অনুদিত অসমিয়া গল্প সংকলিত হয়েছে। সম্প্রতি সাহিত্য আকাদেমি প্রকাশিত ‘লক্ষীনাথ বেজবরুয়ার নির্বাচিত রচনা’ সন্নিবিষ্ট বেজবরুয়ার ‘পদুম কুঁজরী’ উপন্যাসটির বঙ্গানুবাদ তিনি করেছেন। অসম বঙ্গের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গবেষণাধর্মী নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।