আত্মজীবনীতে আর্থজীবন
- চিত্রা সরকার
বিশ শতকের প্রথমার্ধ নিয়ে লেখা আত্মজীবনীমূলক রচনার মধ্যে দিয়ে বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যক্তি দেশ-কালের বিরাট পটকে ফুটিয়ে তুলেছেন বাস্তবের ক্যানভাসে। এতে অনেক বেশি বাস্তবধর্মীভাবে রেখায়িত যুগ ও জীবনের ছবি। লেখকেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমকালীন বাংলার জনসমাজকে প্রত্যক্ষভাবে দেখেছিলেন, উপলব্ধি করেছিলেন। সাহিত্যিক, সমাজকর্মী, প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ প্রমুখের আত্মজীবনীর মধ্যে দিয়ে তাদের সম্যক আর্থ-সামাজিক চিন্তাকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গ্রন্থে। উঠে এসেছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য যার উপর নির্ভরশীল ছিল তৎকালীন দরিদ্র সাধারণ মানুষের টিকে থাকা।
জন্ম নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ব্লক-২, ধুবুলিয়ায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে দারিদ্র্য-চিন্তা – ১৯৩৭–৪৭’ বিষয়ে পি.এইচ.ডি. পেশা শিক্ষকতা। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের যে কোনো শাখায় লেখালেখিতে স্বচ্ছন্দ। লেখাপত্র ছড়িয়ে আছে কয়েকটি বই, বিভিন্ন সম্পাদিত বই ও পত্র-পত্রিকাতে। ভালোলাগার বিষয় কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা দূরদর্শনের ‘সাহিত্য সংস্কৃতি’ ও ‘ঘরেবাইরে’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। এটি চতুর্থ প্রকাশিত গ্রন্থ। প্রকাশিত অন্যান্য বই : বাংলা কবিতা : সময়ের অন্তর্দাহ : সামাজিক সংকট আত্মিক সংকট : প্রেক্ষিত বাংলা কথাসাহিত্য; বাংলা। নাটকে ক্ষুধায়ন : মন্বন্তর থেকে দেশভাগ।