বাংলা নাটকে ক্ষুধায়ন
- চিত্রা সরকার
নাটক তো শুধু পাঠের জন্য নয়, এ-এক দৃশ্যশ্রাব্য মাধ্যম। অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে সরাসরি পৌঁছে যায় গ্রাম শহরের নানা স্তরের অগণিত মানুষের মনোগহনে। ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে সৃষ্ট চরম ক্ষুধা ও মন্বন্তরের নিখুঁত চিত্র ধারাবাহিক ভাবে উঠে এসেছে সমকালের নাটকে। দেশবাসীর অপরিসীম ক্ষুধার বর্ণনায় নাট্যকারদের প্রত্যক্ষ বাস্তব যুগ ও জীবনের অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। দেশভাগের পর উদ্বাস্তু মানুষের ক্লেদাক্ত জীবনযাত্রাও নাটকে জলছবির মতো প্রতিফলিত। মানুষের অসহায়তাকে মুলধন করে যেসব প্রতারক সুবিধেবাদী শ্রেণি স্বার্থসিদ্ধি করেছিল তাদের চিহ্নিত করে গোষ্ঠীবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলারও ইঙ্গিত পাওয়া যায় সেকালের প্রতিনিধি স্থানীয় নাটকগুলিতে। মন্বন্তর থেকে দেশভাগ নিয়ে লেখা এরকমই পাঁচটি নাটকের বিশ্লেষণ নিয়েই বাংলা নাটকে ক্ষুধায়ন।
জন্ম নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ব্লক-২, ধুবুলিয়ায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে দারিদ্র্য-চিন্তা – ১৯৩৭–৪৭’ বিষয়ে পি.এইচ.ডি. পেশা শিক্ষকতা। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের যে কোনো শাখায় লেখালেখিতে স্বচ্ছন্দ। লেখাপত্র ছড়িয়ে আছে কয়েকটি বই, বিভিন্ন সম্পাদিত বই ও পত্র-পত্রিকাতে। ভালোলাগার বিষয় কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা দূরদর্শনের ‘সাহিত্য সংস্কৃতি’ ও ‘ঘরেবাইরে’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। এটি চতুর্থ প্রকাশিত গ্রন্থ। প্রকাশিত অন্যান্য বই : বাংলা কবিতা : সময়ের অন্তর্দাহ : সামাজিক সংকট আত্মিক সংকট : প্রেক্ষিত বাংলা কথাসাহিত্য; বাংলা। নাটকে ক্ষুধায়ন : মন্বন্তর থেকে দেশভাগ।