বাংলা ও বাঙালির অকথিত ইতিহাস
- মণিলাল খান
প্রাক-ঐতিহাসিক পর্বে আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব দু-হাজার বছরের সময় বাঙালির নিজস্ব সভ্যতার প্রমাণ মিলেছে নানা উৎখননক্ষেত্রে প্রাপ্ত প্রত্নদ্রব্য বিচার করে। আরও জানা যায় তখন শিল্পজীবী আর্য-ব্রাহ্মণ-জনজাতির একটা অংশ বঙ্গ জনপদে উপস্থিত ছিল। পরে একাদশ খৃষ্টাব্দের দ্বিতীয়ার্ধে কিছু হিন্দু রাজা যজ্ঞানুষ্ঠানের জন্য মধ্যভারতের নানা স্থান থেকে কয়েকবার ও কয়েকজন বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ আনয়ন করেন এবং যজ্ঞ শেষে বঙ্গে তাদের প্রতিষ্ঠা করেন। তারাই রাঢ়ী বারেন্দ্র ও বৈদিক নামে খ্যাত। হিন্দু যুগে তাঁদের কেউ কেউ স্মৃতিশাস্ত্র রচনা করে ব্রাহ্মণদের শিল্প চিকিৎসা জ্যোতিষ প্রভৃতি পেশা নিষিদ্ধ করে দেন। তার ফলে তারা ‘পেশা’ অথবা ‘বর্ণ’ খুইয়ে বাস করতে থাকেন। কেবল শিল্পপেশাই না দেবশিল্পী শ্রী বিশ্বকর্মার সঠিক মহিমা এবং তার প্রকৃত প্রতিমারও প্রচলন করা হয় না বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলগুলিতে। এইসব বৃত্তান্ত নিয়েই এই গ্রন্থ।
গত শতকের ষাটের দশক থেকে পত্র পত্রিকায় লেখালেখি। বসুমতী, আনন্দবাজার, সচিত্র ভারত, অমৃত, দেশ, স্যমীক, গণশক্তি, সময়-অসময়, তত্ত্বমসি, ঋদ্ধি, বাংলাদেশ ফোকলোর সোসাইটির মুখপত্র ‘ফোকলোর’, কলিকাতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মুখপত্র ‘বাংলা সাহিত্য পত্রিকা’, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের ‘লোকদর্পণ’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। গবেষণা কর্মের স্বীকৃতি পি.এইচ.ডি. ১৯৭১ এবং ডি.লিট. ১৯৮৭ সাল। কর্মজীবন - শিক্ষকতা রহড়া শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত বিদ্যালয়, নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ এবং শেষে বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান। সেখান থেকেই অবসর। প্রয়াত কৃষ্ণচন্দ্র খানের চতুর্থ পুত্র, অধুনা উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার বাসিন্দা।