বাংলা সাহিত্যে গণচেতনার উদ্ভাসন
- বিপুল মণ্ডল, মহুয়া ঘোষ
গণচেতনার উদ্ভাস সাময়িক উদ্যমের উপর নির্বরশীল। সামাজিক-রাজনৈতিক- সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় ইত্যাদি বিবিধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণ মানুষের আশা-আকাখ্খাই সাহিত্যে গণচেতনায় রূপান্তরিত হয়। যে সাহিত্য শ্রেণি সচেতন, যা বিশেষ বিশেষ শ্রেণির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার, যা ঘুনধরা গলিত সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রামে লিপ্ত অন্যায়-অবিচার আর শোষনের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা, মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলা, নতুন চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা প্রভৃতি বর্ণিত হয়। গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শোষন-শাসনে গেলেও গণচেতনাধর্মী সাহিত্যে “কমিউনিস্ট পার্টির বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের নান্দনিক প্রচার মাধ্যম হওয়া” অনিবার্য নয়। তাছাড়া শুধু রাজনীতির মাধ্যমে গণচেতনার বিকাশ সম্পূর্ণ নয়, সুস্ক সাংস্কৃতিক বিকাশও গণমানুষের চৈতন্যকে সঞ্চার করতে পারে। আবার অবস্থানজনিত সঙ্কটের বাইরেও গণমানুষের জীবনে নানারকম শোষণ ও বঞ্চনা লুকিয়ে থাকে, যা নিয়ত সমাজচৈতন্যে প্রভাব ফেলে ৷ সং বিবেকবান, প্রতিশ্রুত সাহিত্যিক যদি গণসংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে জনসাধারনের একজন হযে অবিকল্পভাবে গণ-দাবীর প্রতি সোচ্চার হন সাহিত্যের মাধ্যমে তাতেও গণচেতনার রূপান্তর ঘটে ।