বাংলার লোকসংস্কৃতি বিদেশির চোখে
- কাকলি ধারা মন্ডল
১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের উত্থান ঘটলে ভারতবর্ষকে শাসনের জন্য একে একে এদেশে বহু 'বিদেশী শাসক, রাজকর্মচারী ও মিশনারীর আগমন ঘটে। এদেশের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সাহিত্য সংস্কৃতির এতিহ্যকে জানার আগ্রহে ১৭৮৪ গ্রিষটাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়াটিক (সোসাইটি। এরপর (১৮০০ খ্রিঃ) শ্রীরামপুর মিশন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার সূত্রে বাংলা গদ্য চর্চা ও লোকসংস্কৃতি সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজটিও বহু বিদেশী পণ্ডিতের হাত ধরে নির্দিষ্ট রূপ লাভ করে। এভাবেই প্রশাসক, ধর্মপ্রচারক, শিক্ষক, নৃতাত্তিক বা সাহিত্য চর্চাকারী এইসব বিদেশী গবেষকদের চোখে নানা সময়ে এদেশের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বহুমাত্রিক ও বিচিত্র রূপ প্রতিবিস্বিত হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থে মোট ২৩টি প্রবন্ধে বিখ্যাত বা ্বগ্লালোচিত বিদেশী ব্যক্তিত্বের চোখে যে-ভাবে বঙ্গভারতীয় সংস্কৃতির বহুবর্ণরঞ্জিত রূপটি চর্চিত হয়েছে, তার পুনর্মূল্যায়ন হয়েছে, যা লোকসংস্কৃতির ছাত্র-গবেষক কিংবা চর্চাকারীদের কাছে এক প্রয়োজনীয় সংযোজন হিসেবে আদৃত হবেই।
অধ্যাপিকা ড. কাকলী ধারা মুল কল্যাণী বিভাগীয় প্রধান ও প্রতিষ্ঠিত লোকসংস্কৃতি বিজ্ঞানী। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকন্বীপের, ভূমিকন্যা। কৃতি ও মেধাবী ছাত্রী হিসাবে জাতীয় মেধাবৃত্তি লাভ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বাণিজা অনুষদের মধ্যে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। 'আকাদেমি অফ ফোকলোর এবং “সেন্টার ফর ফোকলোর স্টাডিজ ত্যাণ্ রিসার্চ _ লোকসংস্কৃতি চর্চার দুই পুরোধা সংস্থার সভাপতি তিনি। লোকসংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণা পত্রিকা 'এতিহ্য The Tradition, “লোকদর্পণ' - এর তিনি প্রধান সম্পাদক। লোকউৎ্স' এবং The Journal of Indian Culture" - এর অন্যতম সম্পাদক। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও গ্রন্থে তার দেড়শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত। মালেশিয়া, থাইল্যাণ্ু, ফিলিপিনস, শ্রীলঙ্কা, ইউ.এই. বাংলাদেশ, চীন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত ব্তা। সম্পাদিত গ্রন্থ ৮টি “নদীয়ার ইতিবৃত্ত, বাংলা লোকসঙ্গীত কোষ” “বাংলা লোকসংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস", Living Heritage “তোমারই হউক জয়” “বহতা পরম্পরা” ইত্যাদি। রচিত গ্রন্থ (৬টি) শব্দবিজ্ঞান ও লোকসংগীতের তত্ত্বকথা ', বঙ্গীয় লোকসংস্কৃতি ও ধান্য প্রসঙ্গ”,Folklore Studies : Some new concepts and quest ইত্যাদি।