ক্যান্সার ও আমি
- প্রণবজ্যোতি চৌধুরী
এই বই আসলে একটি যুদ্ধের গল্প। এমন যুদ্ধ যে-যুদ্ধে জয়ের আশা নেই কোনও। একটাই বার্তা এই বৃত্তান্তের; আমরা ভয় করব না ভাই, করব না। এসেছে যে-অমোঘতা কর্কট রোগের নাম নিয়ে, তাঁকে মোকাবিলা করছেন এই বইয়ের লেখক। আর, শান্ত দৃঢ়তা নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ও অনুভবের শরিক করতে চাইছেন আমাদের। কেননা জীবন মৃত্যু-শাসিত তবু জীবনই বড়ো। বড়ো জীবনের নির্ভিক যুদ্ধ। অবসান নয়, অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত হার মেনে নেওয়া নয়। অল্প-অল্প করে অবধারিত ঘনিয়ে আসছে, আসুক। এই বার্তাই ঘোষিত হোক : যুদ্ধ জারি ছিল, জারি আছে, জারি থাকবে।
জন্ম ১৯৫৪ এর ১৬ জানুয়ারি আসামের বর্তমান করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীদুর্গাপুর নামক গ্রামে। পিতা প্রয়াত প্রেমময় চৌধুরী, মাতা প্রয়াত সুভাষিনী দেবী। পড়াশোনা - গ্রামের পাঠশালায় প্রাথমিক পাশ করে চান্দবাড়ী মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ে যষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত। তারপর নিলামবাজার স্বামী বিরজানন্দ বিদ্যানিকেতন থেকে ১৯৬৯ মাধ্যমিক পাশ করে করিমগঞ্জ কলেজে বাকি পড়াশোনা। স্নাতক তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় নিতান্ত পারিবারিক কারনে চাকরীতে যোগদান। দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে ২০১৪ এর ৩১ শে জানুয়ারি অবসর গ্রহণ। ২০১১ সালের জুন মাস থেকেই ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু। ডাক-তার কর্মচারীদের সংগঠনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এছাড়া স্থানীয় শ্রমিক কর্মচারী শিক্ষক সমন্বয় সমিতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড : ডিব্রুগড়ের ভাবীকাল নাট্যগোষ্ঠী; ইণ্ডিয়াক্লাব, ছন্নছাড়া ইত্যাদি এবং শিলচরের ভাবীকাল ও কালচারাল ইউনিটের দ্বারা প্রযোজিত অনেক নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়।।