ধর্মমঙ্গলে প্রান্তজন
- সুপ্রিয় কুমার দাস
মঙ্গলকাব্য ধারার অভিনব মঙ্গলগান ধর্মমঙ্গল। ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ও ইতিহাসের এক মেলবন্ধন লক্ষ্য করা যায় ধর্মমঙ্গলকাব্যে। ‘ধর্মমঙ্গলে প্রান্তজন’ গ্রন্থে মনি-মুক্তার মতো উৎকীর্ণ ধর্ম ঠাকুরের পরিচয়, পূজা, সমাজবাস্তবতায়।প্রান্তিক মানুষের সম্পৃক্ততা, তৎসহ প্রান্তিক মানুষের জীবন সংগ্রামের কাহিনি। গ্রন্থে ‘বিচিত্র পুরুষ’ ও ‘বিচিত্র নারী’ অধ্যায়ে নিম্নবর্গের সেই মানুষগুলির আত্মপ্রত্যয়, বঞ্চনা, শঠতা, সততার ছবি ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রাণসম্পদ। বীররসাত্মক এই কাব্যে আছে ইতিহাসের পদধ্বনি যা কাব্যকে করে তুলেছে গৌরবোজ্জ্বল। এছাড়া আছে মন্দির ও পূজার বিশেষ কিছু অঞ্চলের দুষ্প্রাপ্য চিত্র।
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল. ও পি.এইচ. ডি. সম্মান লাভ করেছেন। বি.এড. করেছেন রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষণ মন্দির, বেলুড় মঠ থেকে। বাংলা এবং বাংলার বাইরের পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত। কাজ করেছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অতিথি অধ্যাপক হিসাবে। ‘বিবেকসঞ্চার’ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ‘পাটুলি ইন্সটিটিউট ফর সোশ্যাল চেঞ্জ’ নামক মানবকল্যাণমুখী সংস্থার মুখ্যপদ অলঙ্কৃত করে আছেন। তিনি লিখেছেন কালপুরুষ (কাব্যগ্রন্থ), পুনশ্চ : ভাবনার আলোকে, প্রসঙ্গ : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, এছাড়া ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষার বাংলা বিভাগে বেশ কিছু মডিউল প্রণেতা। মধ্যযুগের বাংলা রোমান্টিক আখ্যানে নারী-পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। ড. দাস মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করে চলেছেন।