ফাল্গুনী : চিরসবুজের নিবেদন
- সম্পাদনা অপর্ণা মণ্ডল
বসন্ত তার কবিকে ডাক দেয়, ডাক পাঠায় নতুন পাতার দ্বারে দ্বারে। দোলা লাগে পলাশে ডালে, মনেও। শুধু চৌপদী লেখা দাদার মনের নাগাল সে কিছুতে পায়না। তারুণ্য ছোটে বার্ধক্যটাকে তাড়া করে। অন্ধ বাউলের মনের পথ ধরে তারা খুঁজে চলে শীতবুড়োকে। কিন্তু জীর্ণ করে ভরে দেওয়ার খেলা যার নিত্যদিনের, তার নাটমন্দিরে শীত-বসন্তের পালা কেবলই প্রাণময় হয়ে বয়ে চলে। শীতের উল্টোপিঠেই থাকে বসন্ত। প্রবীণ এই পৃথিবীটাই চিরনতুনের আবাহন সরগরম হয়ে ওঠে। শুকনো পাতার বনে কচি পাতার কল্লোল জাগে। বাইরে যখন শীতের শীর্ণতা, চুলে যখন রাজার পাক ধরেছে, তখন তার অন্তরে জাগে বসন্তের বর্ণচ্ছটা। আসলে যার শেষ নেই, তার সবসান গীতি গাইবে কে? ‘ফাল্গুনী’-কে ঘিরে পৌষ-ফাগুনের সেই সত্যকেই আরো একবার ফিরে দেখা হল এখানে।