খুশির উপত্যকা
- আব্দুল্লাহ জমাদার হাসান
প্রকৃতি ও মানবজীবনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। বাংলার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সুবিদিত। বাংলার মানুষের জীবনও বহুবিন্যস্ত নানা সম্পর্কের টানাপোড়েনে বিচিত্রগামী। এই বিপুল বৈভবের কিয়দংশ বিধৃত রয়েছে ‘খুশির উপত্যকা’-র কবিতা সমূহে। একদিকে রয়েছে দার্জিলিংয়ের পার্বত্য প্রদেশের অপাপবিদ্ধ সৌন্দর্যে অবগাহনের অনাবিল মুগ্ধতা। অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গের পরিবর্তনশীল ঋতুর সঙ্গে সম্পৃক্ত খেটে-খাওয়া মানুষের সুখদুঃখ, প্রেম-অপ্রেম, আশা-আকাঙক্ষার দিনলিপির সুনিবিড় পর্যবেক্ষণ। আরও রয়েছে নরনারীর বহুস্তরিক সম্পর্কের পরতে পরতে ওতপ্রোত অনুভবের হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপন। অভিনব শব্দসম্ভার, ইন্দ্রিয়বেদী চিত্রকল্পের পাশাপাশি নানা আটপৌরে শব্দের প্রয়োগে সমৃদ্ধ এই বইয়ের কবিতাসমূহ সহৃদয় পাঠকের কাছে সমাদৃত হবে বলে আশা করা যায়।
জন্ম ১৯৫৮ সালের ২রা ডিসেম্বর। অধুনা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কুল্পী থানার অন্তর্গত চুনফুলি গ্রামে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের কৃতী ছাত্র, পি. এইচ.ডি. করেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিচিত্র কর্মোদ্যোগের পাশাপাশি মানবজীবন ও প্রকৃতির পারস্পরিক সম্পর্কের পর্যবেক্ষণ তাঁর আগ্রহের বিষয়। ভ্রমণপিপাসু এই কবি নানা বিষয়ের বই পড়েন এবং রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি শুনতে ভালোবাসেন। চার দশকের নিভৃত কাব্যচর্চার নির্যাস তাঁর এই প্রথম কবিতার বই ‘খুশির উপত্যকা’।