মধ্যযুগের বাংলা কাব্যে শিব ও শিবায়ন
- অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলাদেশের শিবকাহিনি অতি প্রাচীন। শিবের চরিত্রে একদিকে যেমন রয়েছে বাংলার কৃষিভিত্তিক সমাজের লৌকিক রূপের পরিচয়; তেমনই অন্যদিকে রয়েছে পুরাণ ও সংস্কৃত আখ্যানের আদিরসাত্মক ছাপ। মনসামঙ্গল ও শিব-চতুর্দশীর আখ্যানভিত্তিক মৃদলুব্ধ কাহিনিতেও শিব চরিত্রের সম-বৈশিষ্টই ধরা পড়েছে। শিবায়ন কাব্যধারায় এই শিবই যেন বিস্তৃত ভাবে রূপায়িত। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, বাংলা সাহিত্যের এই শিবায়ন শাখাটি বিশিষ্টতা অর্জন করেছে শিব-মাহাত্মের জন্য নয়; লৌকিক শিব কাহিনির জন্য। এই কাব্যের মূল উপজীব্য স্বর্গ থেকে শাপভ্রষ্ট কোনো চরিত্রের আখ্যান নয়; মানবিক জীবনের কাহিনি। সে কাহিনির মূলে রয়েছেন শিব। এই শিব কীভাবে পৌরাণিক না হয়ে কৃষিনির্ভর বাঙালি শিবে রূপান্তরিত হয়েছেন সেটাই এই বইটির মূল সুর।।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং প্রবন্ধ ও কথাসাহিত্যের পাঠকদের কাছে পরিচিত-ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘদিন অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত এই লেখক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. (প্রথম শ্রেণি), এম.ফিল. ও পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেছেন। ভালোলাগার বিষয়গুলি হল — মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য এবং কথাসাহিত্য। তার গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোর নাম — ‘মধ্যযুগের সাহিত্যে গতানুগতিকতা বনাম মৌলিকতা’, ‘বৈষ্ণব পদাবলীর নবমূল্যায়ন’, ‘তরাশঙ্করের কবি’ ও ‘রাধা’ উপন্যাস-সমীক্ষা, জরাসন্ধের উপন্যাসে সমাজ-বাস্তবতা।