মনসামঙ্গল কাব্যের নারী।
- বিভূতিভূষণ বিশ্বাস
নারীদের সমানাধিকারী করে তাোলার জন্য মনসামঙ্গল কাব্যের কবি ছিলেন ভীষণভাবে তৎপর। তৎকালীন সমাজে রক্ষণশীল সামন্ততান্ত্রিক পুরুষেরা নারীদেরকে অবহেলায়, অবজ্ঞায় দূরে সরিয়ে রেখেছেন, নারীর পায়ে পরিয়ে দিয়েছেন শিকলের বেড়ি। সেই শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসতে নারীরা ছিল সঙ্কুচিত। মনসামঙ্গলের নারী বিদ্রোহিনী-প্রতিবাদিনী। একাব্যের বেহুলা, সনকা, নেতা, মনসা, চণ্ডী প্রায় সকলেই পুরুষের প্রদর্শিত পথে পা বাড়ায়নি। সামন্ততান্ত্রিক পুরুষের প্রদর্শিত পথকে তারা তাদের পা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে। মনসামঙ্গলের কবিগণের এহেন দুঃসাহসিক স্পর্ধা সেকালের মতো একালের নারী জাগরণের ও প্রতিবাদের পৌরহিত্য সাধন করে।
জন্ম ১লা জানুয়ারী ১৯৭৬। শিবমন্দির সিংহ বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক, বাণীমন্দির রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, শিলিগুড়ি কলেজ থেকে বাংলা নিয়ে স্নাতক। এরপর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর হয়ে, শিলিগুড়ি বি.এড. কলেজ থেকে বি.এড.। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বাংলা মনসামঙ্গল কাব্যে নারীর অবস্থান’ নামক অভিসন্দর্ভের জন্য পি.এইচ.ভি. উপাধি প্রাপ্তি। শিলিগুড়ি কমার্স কলেজের আংশিক সময়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। ২০০৫ সালের ৭ই মে থেকে কোচবিহার ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একাধিক গবেষণা পত্র-পত্রিকায় অজস্র প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা সপ্তম।