মুখপঞ্জির পাতায় পাতায়
- কল্যাণ মজুমদার
সকলেই যেমন কবি নয়, কেউ কেউ কবি। তেমনি সকলেই লেখে না, কেউ কেউ লেখে। ছাত্র পড়িয়ে দিব্যি কাটছিল কল্যাণ মজুমদারের দিন। এরই মাঝে সম্প্রতি মনের জমিনে অঙ্কুরিত হচ্ছিল কিছু কথা। সেসব কথা প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল ফেসবুকের দেয়ালে দেয়ালে। সেখান থেকে তুলে এনে রোপণ করা হল এই গ্রন্থের পাতায় পাতায়। এখানে পাওয়া যেতে পারে জীবনের কিছু মধুর বেদনা বা সানন্দ বোধের দ্যোতনা। উৎসাহী যারা পাতা ওল্টাবেন তারা পেতেও পারেন চকিত আনন্দের স্পর্শ বা সাময়িক ভালোলাগার অনুভূতি। কবিতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হল কিনা সে বিচার সময়ের হাতে। আপতত কেবল কথা হিসেবেই একে গ্রহণ করা যেতে পারে।
কল্যাণ মজুমদারের পূর্বপুরুষের আদি নিবাস পূর্ববঙ্গে। কলকাতা শহরে উদ্বাস্তু জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই চালাতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। বাগুইআটির চিত্তরঞ্জন কলোনী হিন্দু বিদ্যাপীঠ থেকে বিজ্ঞান শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশ করবার পর ভাষা ও সাহিত্যের টানে সাম্মানিক বাংলা নিয়ে পড়াশুনো প্রেসিডেন্সি কলেজে। ২০০২-এ সাম্মানিক স্নাতক পরীক্ষায় কলেজের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে অধ্যাপক অমূল্যধন মুখোপাধ্যায় জন্মশতবার্ষিকী পুরস্কার অর্জন। ২০০৪-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রণিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। রুজির টানে নিজের উদ্যোগে গড়ে তোলা ‘সাহিত্যের পাঠশালা’ নামক এক প্রতিষ্ঠান। শত শত ছাত্র-ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করে বেরিয়েছে সেই পাঠশালা থেকে। ২০১৫-তে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বাংলার আধুনিক কবিতা নিয়ে গবেষণা করে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন। বর্তমানে কলকাতার পানিহাটি মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনায় রত। কবিতা লেখার সূত্রপাত ২০১৫-র মাঝামাঝি থেকে।