নদিয়ার শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
- ভবেশ মজুমদার, কবিরঞ্জন সাহা
বর্তমান শতকে স্থানীয় ইতিহাস রচনার বিষয়টি বহুল প্রচলিত। যদিও বাংলার জেলাভিন্তিক আঞ্চলিক ইতিহাস-চর্চা উনিশ শতক থেকেই শুরু হয়েছিল! এ বিষয়ে অনেকগুলি বিখ্যাত গ্রন্থ আছে। নদিয়াকেন্দ্রিক গবেষণাধর্মী বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে সেখানে । অবশ্য আমাদের দেশে অন্যান বিষয়ের যত উন্নতি হয়েছে তার তুলনায় একে বহুল পরিমাণ বলা যাবে না। সে কারণে নদিয়াকেন্দ্রিক আলোচনা হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের আগ্রহের জায়গা। বাংলার অতীত গৌরব সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্র একসময় আক্ষেপের সঙ্গে নবন্ধীপ থেকে বাংলার লক্ষ্মীর অন্তহিতি হওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই নদিয়াতেই আবির্ভূত হন শ্রীচৈতন্য। মানুষকে তিনি নতুন করে বাঁচার পথ দেখালেন ও বললেন মানুষে মানুষে কোন ভেদ নেই। জাগরিত হল আমাদের মানব চৈতন্য । ত্রমে নবছীপ হয়ে উঠল বিদ্যাচর্চার কেন্দ্রবিন্দু। একদিকে ব্রা্ণ পণ্ডিতের শাস্ত্রচর্চা, অন্যদিকে রাজসভাকবি ভারতচান্দ্রের কাব্য-রচনা__দুই-ই এই নদিয়ায়। নদিয়ার সংস্কৃতি পরিশীলিত করেছে দ্বিজেন্দ্রলাল ও প্রমথ চৌধুরীর মতো মানুষকে । ইতিহাসের অজন্র উপকরণ লুকিয়ে আছে নদিয়ার বিভিন্ন স্থানে। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন জনপদ। কালের বিবর্তনে বদলে গেছে মানুষের জীবনধারা । নিশ্চিত ভাবেই প্রাচীন ও বর্তমান নদিয়া সম্পর্কিত অনেক তথ্যের সন্ধান দেবে এ গ্রন্থ।