রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রনৈতিক ভাবনা ও কালান্তর
- রূপা চট্টোপাধ্যায়
রবীন্দ্র-প্রবন্ধের পাঠক সংখ্যা সীমিত; এমনকি কালান্তর কেন্দ্রিক বৌদ্ধিকচর্চাও নামমাত্র। অথচ, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনে ধ্বস্ত বিশ্বকে কিংবা ঔপনিবেশিক স্বার্থরক্ষার ব্যগ্রতায় সংঘটিত দুটি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী বিশশতকের প্রথমার্ধকে চিনতে ‘কালান্তর’ প্রবন্ধ সংগ্রহের মূল্য অপরিসীম। কারণ এই দ্বন্দ্বসঙ্কুল আবহের প্রেক্ষিতে রচিত গ্রন্থটির নানা প্রবন্ধে ধরা রয়েছে রবীন্দ্রনাথের সময়োচিত প্রতিক্রিয়া। কালান্তরের শেষ পরিচয় অবশ্য সমকালীনতা মাত্র নয় বরং তা নিত্যকালীন মানবতার অবক্ষয়ে ক্ষুব্ধ, ব্যথিত এবং পুনঃপ্রাপ্তিতে উৎসুক রবীন্দ্রমননের পরিচয়ে সমৃদ্ধ। এই গ্রন্থটিতে রয়েছে কালান্তরের নির্বাচিত কিছু প্রবন্ধের নিবিড় পাঠ। এই পাঠের অভিমুখ দুটি—একদিকে তা প্রবন্ধভিত্তিক; অন্যদিকে তা বিষয়ভিত্তিক। এই নির্মাণে শুধুমাত্র কালান্তর’ নয় প্রয়োজন অনুসারে গ্রহণ করা হয়েছে উপন্যাস-কবিতা-ছোটগল্প প্রভৃতি নানা উপাদান। এই গ্রন্থে কালান্তরকে কেন্দ্রে রেখে সামগ্রিকভাবে রবীন্দ্রচিন্তার পরিচয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
জন্ম কলকাতায়। স্কুলজীবন কেটেছে সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল সরকারি বিদ্যালয়ে। যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে বাংলা (সাম্মানিক) নিয়ে উত্তীর্ণ হন। এম.এ. এবং এম.ফিল. করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ‘রবীন্দ্রসাহিত্যে ব্রাহ্মণ্যবাদ’ শীর্ষক গবেষণার জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ। অধ্যাপনা জীবনের সূচনা দার্জিলিং সরকারি কলেজে। বর্তমানে সুশীল কর কলেজে কর্মরত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক রূপে নিযুক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ অনুমোদিত এম. আর. পি.-র অধীনে তার সাম্প্রতিক গবেষণার বিষয় ‘রবীন্দ্রভাবনায় এশীয় ঐক্য : উত্তর ঔপনিবেশিক পর্যালোচনা’। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নানা পত্রিকা গ্রন্থে তার লেখা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত হয়।