রমেশচন্দ্র সেন : জীবন ও সাহিত্য
- তপনকুমার রায়
বিশ শতকের মধ্যবর্তী সময় বাংলা উপন্যাসের এক সমৃদ্ধ কালপর্ব। কিন্তু সেই সময়েরই কথাসাহিত্যিক রমেশ চন্দ্র সেন (১৮৯৪-১৯৬২) কিছু পরিমাণে বিস্মৃত। তার একটি কারণ সহজে তাঁর বই পাওয়া যায় না। অথচ জীবনদৃষ্টির গভীরতায় ও লিখনশৈলীর কুশলতায় তাঁর লেখার জাত চিনে নিতে হয় না কোনো পাঠকের। জীবনকে নির্মম কাঠিন্যে অনুভব করেছিলেন তিনি। সেই কাঠিন্যের অন্তরে প্রবাহিত ছিল অপার মানব-মমত্ব। বিভিন্ন দিক থেকে বাংলা সাহিত্যের সেবা করেছেন আজীবন, তাঁর স্থাপিত ‘সাহিত্য সেবক সমিতি’ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকেও ধারণ করে অনেকখানি। রমেশচন্দ্র সেনের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে লেথক ড. তপনকুমার রায়ের এই গবেষণা বাংলা কথাসাহিত্যের ইতিহাসের এক শূন্যস্থান পূর্ণ করেছে—একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
জন্ম ১৯৫৫, মেদিনীপুরের তেরপেখিয়া। পিতা কবিরাজ ব্ৰজকান্ত রায় ভিষগরত্ন। মাতা অমিয়প্রভা। পৈতৃক নিবাস ঢাকা বিক্রমপুর। কৈশোর কেটেছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার শহরে। বর্তমান বসবাস দুর্গাপুরে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ., বি.এড. ও পি.এইচ.ডি.। জীবিকার অভিজ্ঞতা বিচিত্র। শিলচরে চা-বাগানে ম্যানেজার। আসানসোলে দৈনিক পত্রিকার সাব-এডিটর। দুর্গাপুরে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংযুক্ত সম্পাদক। বর্তমানে মানকর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। ‘অনুগ্রহ করে শুনুন’, ‘আলোকিত দাহ’, ‘দিনযাপনের দিনলিপি’ উলেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন। প্রথমে ‘নবাঙ্কুর', বর্তমানে ‘আলোর পাখি’ নামে সাহিত্য-সংস্কৃতির পত্রিকা প্রকাশ করে চলেছেন। ‘কলেজস্ট্রীট’, ‘আরম্ভ’ সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন।