রাশির আলোয় মেঘনাদবধকাব্যপাঠ
- সুধীন্দ্র দেবনাথ
পঞ্চাশ বছর আগে ড. শিশিরকুমার দাশ আদিপর্বের বাংলা গদ্যের ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে রাশিবিজ্ঞানের প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন তার “Early Bengali Prose (Carey to Vidyasagar)" নামের ইংরেজিভাষায় লেখা বইটিতে। বছর-তিরিশেক আগে রাশিবিজ্ঞান-গতিবিদ্যা-জ্যামিতির সহযোগে তৈরি একটি নতুন গাণিতিক পদ্ধতিতে বাংলাভাষায় বাংলাকাব্যের বিশ্লেষণ ড. সুধীন্দ্র দেবনাথের হাতেই প্রথম হয়েছিল। এবার, আগাগোড়া কেবলমাত্র রাশিবিজ্ঞানের সহজ প্রয়োগে মেঘনাদবধকাব্যের বিচার-বিশ্লেষণ হল ‘রাশির আলোয় মেঘনাদবধকাব্যপাঠ’-এ। নানারকম দৃষ্টিকোণ থেকে মেঘনাদবধকাব্যের মূল্যায়ন এর আগে যাঁরা করেছেন, তাদের তালিকাটি দীর্ঘ। তবে, রাশিবিজ্ঞানের সহায়তায় এ-কাব্যটি পাঠ এবং বিশ্লেষণ ড. সুধীন্দ্র দেবনাথই প্রথম করলেন।
জন্ম ময়মনসিংহ জেলার জমিদার-খ্যাত শহর মুক্তাগাছার কাছাকাছি মাধববাড়ি গ্রামে, ১৯৩৭-এর ৫-জানুয়ারি। প্রথম বিভাগে স্কুল-ফাইনাল আর আই এস-সি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতসহ বাংলাসাহিত্যে সাম্মানিক স্নাতক আর এম.এ., বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি.। ছ-বছর বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে, চৌত্রিশ বছর প্রেসিডেন্সি-হুগলি মহসিন-কৃষ্ণনগর কলেজসহ ছ-টি সরকারি কলেজে শিক্ষক। ২০০৩-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বিশিষ্ট শিক্ষক সম্মান’। ১৯৬৫-তে ড. শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর শতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থে’-র ‘সুন্দরের ত্রি-বেদী’ নামের লেখাটি থেকে প্রাবন্ধিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। কোরক চতুষ্কোণ এবং অন্যান্য পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি। বাংলা বানান ছন্দ অলংকার আর মধুসূদন দত্তের কাব্য-কবিতা নিয়ে সাতটি বই।