রাশির বিচারে মধুসূদনের কাব্য-ভাবনা
- সুধীন্দ্র দেবনাথ
গণিতের প্রতি সহজাত আকর্ষণ নিয়েও ঘটনাচক্রে ড. সুধীন্দ্র দেবনাথ অবশেষে সাহিত্যের ছাত্র হয়ে উঠলেন। সেই কারণে, তার লেখালেখিতে গণিতের ছোঁয়া। জাতীয়-সমচিন্তন প্রতিক্ষণ চতুষ্কোণ কোরকের মতো সাহিত্যমূলক পত্র-পত্রিকায় গত কুড়িবাইশ বছর ধরে তার যেসব লেখা বেরিয়েছে, তার প্রায় প্রতিটিতেই সাহিত্যচিন্তার পাশাপাশি গণিতের আনাগোনা। এর মধ্য থেকে মধুসূদনের কাব্য-কবিতা নিয়ে যে দশটি লেখা এই বইটিতে সংকলিত হল, তার মধ্যে ‘মধুসূদনের বিদ্যাচর্চায় কাব্য-ভাবনার উন্মেষ’, ‘মধুসূদনের মহাভারত-ভাবনা’ আর “মধুসূদনের কাব্য-কবিতায় শব্দ-নির্মাণ’—এই তিনটি বাদ দিলে বাকি সাতটি লেখাতেই (‘মধুসূদনের রামায়ণ-ভাবনা’, ‘মধুসূদনেরকাব্য-কবিতায় উদ্ধৃতি-প্রয়োগ’ ‘মধুসূদনের অমিত্রাক্ষরে পূর্ণচ্ছেদচিহ্ন’, “মেঘনাদবধকাব্যে মধুসূদনের সর্প-কল্পনা”, “মেঘনাদবধকাব্যের গাণিতিক মূল্যায়ন”, ‘বীরাঙ্গনাকাব্যে সম্বোধন-প্রয়োগ’ আর ‘মধুসূদনের কাব্য-কবিতার ছন্দবন্ধ’) কোনো-না-কোনোভাবে গণিত ঢুকে পড়েছে।
জন্ম ময়মনসিংহ জেলার জমিদার-খ্যাত শহর মুক্তাগাছার কাছাকাছি মাধববাড়ি গ্রামে, ১৯৩৭-এর ৫-জানুয়ারি। প্রথম বিভাগে স্কুল-ফাইনাল আর আই এস-সি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতসহ বাংলাসাহিত্যে সাম্মানিক স্নাতক আর এম.এ., বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি.। ছ-বছর বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে, চৌত্রিশ বছর প্রেসিডেন্সি-হুগলি মহসিন-কৃষ্ণনগর কলেজসহ ছ-টি সরকারি কলেজে শিক্ষক। ২০০৩-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বিশিষ্ট শিক্ষক সম্মান’। ১৯৬৫-তে ড. শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর শতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থে’-র ‘সুন্দরের ত্রি-বেদী’ নামের লেখাটি থেকে প্রাবন্ধিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। কোরক চতুষ্কোণ এবং অন্যান্য পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি। বাংলা বানান ছন্দ অলংকার আর মধুসূদন দত্তের কাব্য-কবিতা নিয়ে সাতটি বই।