সমাজ বীক্ষণের প্রেক্ষিতে জগদীশ গুপ্তের কথাসাহিত্য
- তাপস রায়
কল্লোল সময় পর্বের অন্যতম লেখক জগদীশ গুপ্ত। তার কথা সাহিত্যের মূল বিষয় নৈরাশ্যবাদ ও যৌনতা। চলে আসা এই ধারণা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। ফ্রয়েদীর মনো বিকলন তত্তের নিরিখে তার সাহিত্যের বিচার চলে। গ্রামীন জীবনের খুঁটিনাটি দিক তার সাহিত্যে নিখুঁত ভাবে উঠে এসেছে। প্রাধান্য পেয়েছে নারীর সংগ্রাম। নারী আত্ম-সম্মান রক্ষার জনা যে লড়াই করছে তার ছবি জগদীশ সাহিত্যে প্রতিফলিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারী যে আত্ম-সম্মান রক্ষা করতে পেরেছে তা নয় তবে তাদের যে লড়াই সমাজের মুলে আগামী দিনে আলোড়ন তুলবে লেখক তাই যেন বলতে চেয়েছেন। আসলে জগদীশ গুপ্ত কল্পনার রাজা তৈরী করেন নি। সমাজকে যেভাবে দেখেছেন সেই ভাবেই তুলে ধরেছেন।
জন্ম ১৯৭৫, হুগলী জেলার গোঘাট থানার অন্তর্ভূক্ত সন্তা গ্রামে! কালীপুর (আরামবাগ) নেতাজী মহাবিদ্যালয় থেকে বাংলা অনার্স পাশ করেন। বর্ধমান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ, বিএড. বি.এল.আই.এস., এম.ফিল. এবং গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি-এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষকতার জীবন শুরু করেন হুগলী বিদ্যালয়ে। অধ্যাপনা জীবন শুরু বাকুড়া জেলার ইন্দাস মহাবিদ্যালয়ে । বর্তমানে এ মহাবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন গবেষণাধর্মী লেখা লেখেন।