সমন্বয় সাধনা প্রেক্ষিত লোকসংস্কৃতি
- আব্দুর রহিম গাজী, চাঁদমালা খাতুন
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে টপকে সমন্বয়ের আত্মিক অনুধ্যান দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধির দিশা দেখায়। তাই রবীন্দ্র-নজরদলের বাংলায় লোকসংস্কৃতির জঠর কেটে চিরায়ত সমন্বয় সাধনার স্বরূপ সন্ধান ভীষণ প্রাসঙ্গিক। প্রাচীন থেকে আধুনিক, লোকসংস্কৃতি থেকে উচ্চ-সংস্কৃতির রন্ধে সমন্বয়-সংহতি-সম্প্রীতির অন্বেষণ আলোচ্য গবেষণা গ্রন্থের মূল উদ্দেশ্য। সেজন্য বিস্তৃত প্রেক্ষিতে বহুমাত্রিক ও বহুকৌণিক আলোকসম্পাতে ক্ষেত্রসমীক্ষা, সাক্ষাৎকার, গ্রন্থ (16১) বিশ্লেষণ জাত তথ্য ও তত্তের সমীকরণে শিকড় সংস্কৃতির বুক চিরে উঠে আসা বর্ণবন্ত সমন্বয় ভাবনাকে ধরা হয়েছে। বিষয়টির পূর্ণতা দিতে গ্রন্থটির আয়তন বেড়েছে। আশা করি সমন্বয় সাধকদের কাছে তা তৃত্তিদায়ক হবে।
উত্তর চব্বিশ পরগণার বাদুড়িয়া থানার পিয়াড়া গ্রামে নিন্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৭০ সালে জন্ম। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতকোত্তর । ২০০৫ সালে উত্তর ২৪ পরগণার মুসলিম লোকজীবনের সাহিত্য ও সংস্কৃতি” বিষয়ে গবেষণা করে পি এইচ. ডি. লাভ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০০৯ সালে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা কলেজে অধ্যাপনার কাজ শেষ করে মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন। ২০১২ সাল থেকে কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনায় রত। বর্তমানে এ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
জন্ম ১৯৮৩, নদীয়া জেলার নাজিরপুর গ্রামে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, সাতকোন্তর, বি.এড., এম.ফিল. (প্রথম) এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত কেথাসাহিত্য)। মুর্শিদাবাদের ভাতশালা হাইমাদ্রাসা'য় শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। তারপর পূর্ব মেদিনীপুরের দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা । অধ্যাপনারত।