শাক্তগীতি সাহিত্য
- অনিল কুমার রায়
ভারতের শক্তিসাধনা বহু প্রাচীন। শাস্ত্রে যে এক ব্রহ্মের কথা বলা হয়েছে তাঁরই শক্তি হলেন ব্রহ্মময়ী মা, মহামায়া। ।তিনি শক্তিরূপিণী, করালবদনী ইচ্ছাময়ী, বরাভয়দায়িনী। ।তিনি চৈতন্যরূপিণী, আনন্দময়ী। শাক্তপগুলিতে শিবশক্তির মধ্যে দিয়ে চৈতন্যরূপিণী মায়েরই লীলা কীর্তিত। তাঁরই লীলা তত্ত্ব বর্ণিত হয়েছে শাক্তগীতি সাহিত্যে। তত্ত্ব যেমন আছে তেমনই তত্ত্বকে ছাপিয়ে জীবনরস তথা সাহিত্যিক উৎকর্ষতাও বিদ্যমান। লেখকের অনুপুঙ্খ আলোচনায় ধরা পড়েছে। এই বই সাহিত্যের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মননশীল পাঠকের কাছেও বিশেষ সহায়ক হবে।
জন্ম ১৯৫৩, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ. ডিগ্রি লাভ। গুপ্তিপাড়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষকতা। ১৯৮১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চম্পাহাটি সুশীল কর কলেজে অধ্যাপনা। ১৯৮৬ তে প্রথম শ্রেণিতে Teacher FellowTeacher Fellow হিসাবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল. ডিগ্রি লাভ। ১৯৯২ জুলাইতে পি.এইচ.ভি. ভিগ্রি লাভ। বাংলা অনার্সের উপযোগী কয়েকটি পুস্তক প্রণেতা। লেখকের ‘কবিতার রূপরীতি : ছন্দ ও অলংকার’ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কর্তৃক উচ্চ প্রশংসিত। অধ্যাপনাকালীন অন্যান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক হিসাবে যোগদান। এ্যাকাডেমিক লেখা ছাড়াও সৃজনমূলক সাহিত্য রচনায় সমান আগ্রহী। কবিতাগ্রন্থ ‘আলোর অভিমুখে’, গল্পগ্রন্থ ‘রোদ্দুর ভরা জীবন’ লেখকের সাহিত্যিক মানসিকতার পরিচয় দেয়। সাহিত্য প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্তিও লেখকের সাহিত্য ভাবনার বিশেষ স্বীকৃতি।