অমারাত্মা অভয়চরণ
- অনিন্দ্যকান্তি দে
পথের শেষ কোথায়! পথেই? জীবন যদি পথ হয়, তবে তার শেষ কোথায়? বিজ্ঞান বলবে মৃত্যুতে! আবার দর্শন বলবে কর্মে। মানুষের শেষ তার কর্মে কীর্তিতে। শক্তির যেমন সৃষ্টি বা ধ্বংস কিছুই নেই। কাজেরও তেমন। শুধুমাত্র বূপভেদ হয় মাত্র। আপাদমস্তক সাহিতা তৃষ্ণার মরীচিকা অন্বেষণে বাহিত হয়েছে অভয়চরণ দের জীবনধারা। কখনো তার রূপভেদ ঘটেছে সংস্কৃতি যাপনে, কখনো সংসার যাপনে, কখনো আবার সমাজ যাপনে। আবার জীবন যদি নদী হয়, অভয়জীবনে যাপন ছিল বেশিটাই খরআ্রোতার মতো। ধাক্কার পর ধাকা। অবিরত। তবু এগিয়ে চলা কালের ত্রমে। জন্ম থেকে মৃত্যু সুখের ছিল না কোনোখানেই। তবে ভয়হীন নাছোড় মনোভাবে অনির্বাপিত থেকেছেন। তার জীবনধারা শেখার নিরিখে অমূল্য, উপস্থাপনের প্রকাশে অতুলা, আত্মবিকাশে অমিত। তবুও তার জীবনধারা ও মাধ্যমে উপস্থাপন করা, সন্তান হিসেবে পিতাকে জীবিত রাখার এক সাধ্যহীন প্রয়াস।
‘মনের মানচিত্রে’ কবিতার বইটি শ্রী অনিন্দ্যকান্তি দের প্রথম আত্মপ্রকাশ। শিল্পী মাত্রই একটা সত্তার পরিচয় বহন করে। কুঁড়ির মধ্যে লুকিয়ে থাকে ভাবী বৃক্ষের সৌন্দর্য। তার-ই বিকাশ এই বইয়ের অনু-পরমাণুতে, এবং তা স্বতঃউৎসারিত।
অনিন্দকান্তি পদার্থবিদ্যার কুশলী শিক্ষক। সংস্কৃতিমান, বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে একান্ত ভাস্বর চরিত্র। নৈহাটির গঙ্গাতীরবর্তী এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তার জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা। তার লেখা, ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় স্থান করে নিয়েছে।