অশ্বমেধের ঘোড়া ও অন্যান্য প্রবন্ধ
- হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নানা বিষয়ে, নানা মাপের আটটি প্রবন্ধ নিয়ে এই বই — অশ্বমেধের ঘোড়া ও অন্যান্য প্রবন্ধ। কোথাও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’, তো কোথাও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রথম যৌবনের কবিতাগুচ্ছ’ — আলোচনার জন্য নির্বিচারে বেছে নেওয়া হয়েছে এখানে, দুই মলাটের মধ্যে। এই বইতেই আছে কাজি নজরুল ইসলামকে নিয়ে অন্যরকম আলোচনা, আবার মাইকেল মধুসূদনের ‘একেই কি বলে সভ্যতা’-র পুনর্মূল্যায়ন। রয়েছে অমিতাভ দাশগুপ্তের একটি বিশেষ কবিতার নিবিড় পাঠ আর ‘বিশ্বায়ন’ ও বাংলা আধুনিক কবিতার সম্পর্ক সন্ধান। প্রথম প্রবন্ধে আছেন অদ্বিতীয় রবীন্দ্রনাথ, শেষে দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর কালজয়ী গল্প। বৈচিত্র্যই বইটির বৈশিষ্ট্য। সঙ্গে রয়েছে রচয়িতার রোচক গদ্যের দীপ্তি, বিশ্লেষণের নিজস্ব মুন্সিয়ানা, লাবণ্যের যে লবণে প্রতিটি প্রবন্ধই কম বেশি সুস্বাদু। আশা করা যায়, এই অষ্টাঙ্গিক মার্গের পথিক-পাঠকেরা বইটি পড়ে আনন্দিত হবেন।
জন্ম ১৯৬৩, বাগবাজারে, সুতরাং অবধারিতভাবে রসগোল্লা, তেলেভাজা, আর বখাটেপনার স্বাদ নিতে নিতে বড় হওয়া। বাবার ইচ্ছা ছিল, ছেলে ডাক্তার হবে, ছেলের সাধ ছিল, হবে গোয়েন্দা। ঈশ্বর বোধ হয় মুচকি হেসেছিলেন। বিজ্ঞানের পাঠ চুকিয়ে অবশেষে উচ্চশিক্ষা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে।
মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক। স্নাতকোত্তর পাঠ ও গবেষণা কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশ করেই চাকরি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ছ বছর পর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনেকগুলি বছর পড়ানোর পর এখন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অধ্যাপক। লেখালেখি পেশার অনুষঙ্গেই, কয়েকটি বই আছে। প্রবন্ধের বই।। কখনো কখনো ভুলক্রমে কবিতাও লিখে ফেলেছেন। পছন্দের বিষয় ; আড্ডা আর। ঘুম, অপছন্দ : কুচুটেপনা এবং পরনিন্দা। ভয় : মানুষ চেনা যায় না এমন অন্ধকারকে। স্বপ্ন : একটা ডাবল ডেকার বাস কিনে তাতে বন্ধুদের চাপিয়ে কোলকাতা দাপিয়ে বেড়ানো।