বাল্মীকি-রামায়ণ (দ্বিতীয় খণ্ড)
- সুভাষ ভট্টাচার্য
বহুকাল থেকেই বাঙালির সঙ্গে রামায়ণের সহজ পরিচয়। তবে সে রামায়ণ মূলত কৃত্তিবাসের রামায়ণ। সে রামায়ণ কিন্তু মূলানুগ নয়, তা এক রূপান্তর। মূল রামায়ণ বলতে সাধারণভাবে বাল্মীকির রামায়ণের কথাই বলা হয়। তবে রামায়ণের নানান রূপভেদ আছে। আর সেসব রূপভেদ দেশ ছাড়িয়ে প্রচলিত হয়েছে বিদেশে, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা দেশে। সেসব রামায়ণের সঙ্গে বাল্মীকি-রামায়ণের মিল যত অমিল ততটাই। আজ তাই খাঁটি রামায়ণ বলতে বুঝি বাল্মীকি-রামায়ণকে। উনিশ শতকে বাল্মীকি-রামায়ণের যে একটিমাত্র পূর্ণাঙ্গ অনুবাদের সঙ্গে বাঙালির পরিচয় হয়েছিল, আজ সেটি নানা কারণে পাঠকের থেকে দূরবর্তী। ভাষার প্রাচীনতা ও দুরূহতা একটা কারণ নিশ্চয়। স্বাদু গদ্যে পূর্ণাঙ্গ অনুবাদের অভাব মেটাতেই এই গ্রন্থের পরিকল্পনা। দীর্ঘ দেড় দশক কাল ধরে চলেছে এই অনুবাদকর্ম। শুধু তো শ্লোক ধরে ধরে অনুবাদই নয়, সেই সঙ্গে এতে আছে টীকা ও নির্ঘন্ট। টীকা ও নির্ঘন্ট সংবলিত পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ বলতে গেলে এই প্রথম।
জন্ম বরিশালে ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯। স্নাতক প্রেসিডেন্সি কলেজ ও স্নাতকোত্তর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লেখালিখি ও চর্চা প্রধানত অভিধান, ভাষাতত্ত্ব ও ইতিহাসে, কখনো-বা সংগীত বিষয়ে। একক প্রচেষ্টায় সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন দশ-বারোটি অভিধান, লিখেছেন পাঁচ ছটি ভাষা বিষয়ক গ্রন্থ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘আধুনিক বাংলা প্রয়োগ অভিধান’, ‘বাঙালির ভাষা’, ‘ভাষা ও শৈলী’, ‘ভাষাদিগন্তে নতুন আলো’, ‘বাংলাভাষা চর্চা’, ‘ভাষার তত্ত্ব ও বাংলা ভাষা’, ‘বাংলা উচ্চারণ অভিধান’, ‘ইতিহাস অভিধান’ (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড), ‘স্বপ্নের ভুবন : রবীন্দ্রনাথের গান’, ‘বিবিধ বিদ্যার অভিধান’, ‘তিষ্ঠ ক্ষণকাল’, ‘ভাষাকোশ’, ‘তোমাদের রবীন্দ্রনাথ’ ইত্যাদি। সম্পাদিত গ্রন্থ ‘সংসদ বাংলা অভিধান’, Samsad English-Bengali Dictionary, Samsad Bengali-English Dictionary ইত্যাদি। পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৯৮৪), বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার (২০০৭), চণ্ডীগড় প্রাচীন কলাকেন্দ্র সম্মান (২০০৯)। সাহিত্য সংসদের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য।