বাংলা উপন্নায়াসে দেশভাগের প্রসঙ্গ
- মিঠু দেব
আবহমান কালের শাস্ত সিগ্ধ চিররমণীয় বাংলাদেশ বিংশ শতকের প্রথম থেকেই 'অশাস্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্ব মহাযুদ্ধের পরে তা চরমে পৌছায়। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সূত্র ধরে আসে দেশভাগ আর দেশভাগের সূত্র ধরে শুরু হয সাম্প্রদায়িক দাকগ। হিন্দু-মুসলমানের সম্পর্কের বন্ধন ছিন্ভিন হয়ে যায়। 'ভিটেমাটি ত্যাগ করতে বাধ্য হয় লক্ষ লক্ষ বাঙালি। বাংলাদেশ ভেঙে দু'টুকরো হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দু'টুকরো হয় বাঙালিও। পুর্ব বাংলা থেকে লক্ষ লক্ষ শরণার্থী এসে ভিড় জমায় পশ্চিমবঙ্গে । বাঙালির জীবানে সত্যিই তখন এক মহাসংকট উপস্থিত। বাঙালির এই মহাসংকট খুব স্বাভাবিকভাবেই সাহিত্যের বিষয় হয়ে উঠেছে একদিন। বিশেষ করে বাংলা কথাসাহিত্যে। দেশভাগের বিষয় নিয়ে লেখা এই সাহিতাগুলি যথার্থ অথেই হয়ে উঠেছে বাঙালি জাতির চরম দুঃসময়ের এক মহামুলযবান দলিল। “বাংলা উপন্যাসে গ্রন্থের সনদর্ভগুলিতে দেশভাগের প্রেক্ষাপটে লেখা নির্বাচিত কিছু উপন্যাসের উপর আলোকপাত করার প্রচেষ্টা য়েছে।
জন্ম : ১ আগষ্ট, ১৯৭৬।
শিক্ষা : শিলিগুড়ি মহকুমার রানীডা্া নিন্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে: প্রাথমিক শিক্ষা আরম্ত। বি.এ. ক্লাসের পড়াশুনা শিলিগুড়ি কলেজ থেকে। এরপর: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. ও পি-এইচ.ডি.। কর্মজীবন : ২০০২ সালে জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবনের সুচনা। পরে: কয়েক বছর শিলিগুড়ি মহিলা মহাবিদ্যালয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষকতা করার পর মালদা জেলার গাজোল: মহাবিদ্যালয় স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান। বর্তমানে গাজোল মহাবিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রধান।
লেখালেখি : বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয়ে আন্তত পঞ্চাশটি মুল্যবান প্রবন্ধের রচয়িতা। রয়েছে দুটি সম্পাদকীয় গ্রন্থ - প্রগতি ও সাহিত্য, ও 'সাহিত্য-তীর্থে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়'। এর মধ্যে শেষেরটি যুগ্মসম্পাদনায় প্রকাশিত।
প্রিয় বিষয় : কথাসাহিত্য ও সমালোচনা সাহিত্য।