বঙ্কিমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ ও নানা প্রসঙ্গ
- শঙ্করীপ্রসাদ বসু
অধ্যাপক শঙ্করীপ্রসাদ বসুর ‘বঙ্কিমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ গ্রন্থের নবসংস্করণ প্রকাশিত হলো। সাহিত্য বিষয়ে অধ্যাপক বসুর ঋদ্ধ চিন্তাভাবনার ফসল এই গ্রন্থ যেখানে তথ্যের বিস্তৃতি ও গভীরতা সহজেই চেখে পড়ে। বলা যায় লেখকের ইতিহাসবোধের সঙ্গে রসবোধের সম্মিলন ঘটেছে এখানে। বঙ্গসাহিত্যের দুই বৃহদারণ্য বনস্পতি বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বিবিধ বিষয়, এমনকি চলচ্চিত্র তার আলোচনায় এসেছে। ক্রিকেট সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য, রামকৃষ্ণ-বি্বেকানন্দ সাহিত্যের যিনি যুগস্রষ্টা, সেই তাঁর টুকরো সাহিত্যচিন্তা আসলে যে তারই বৃহত্তর সাহিত্যচিন্তার অন্তর্ভুক্ত তা এই গ্রন্থের দুমলাটে ধরা আছে।
শঙ্করীপ্রসাদ বসু - বিশ শতকের বঙ্গসংস্কৃতির এই অগ্রণী ব্যক্তিত্বের জন্ম ২১ অক্টোবর ১৯২৮ হাওড়া শহরে। শিক্ষা হাওড়া বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন, রিপন কলেজ (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ), প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আবাল্য রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৫০-এ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এম.এ. পরীক্ষায় প্রথম।শ্রেণিতে প্রথম। শিক্ষকতা হাওড়া বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন, হাওড়া দীনবন্ধু কলেজ, হাওড়া গালর্স কলেজ, আমহাস্ট স্ট্রিট সিটি কলেজ, বঙ্গবাসী কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৩এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ি অধ্যাপকপদ থেকে অবসর গ্রহণের পর, আমৃত্যু রামকৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অব কালচারের (গোলপার্ক) স্বামী বিবেকানন্দ আর্কাইভসের ডিরেক্টর এবং নিবেদিতা-চেয়ারে অধিষ্ঠিত। বাংলআ এবং ইংরাজীতে পঞ্চাশটিরও বেশি গ্রন্থের রগয়িতা এবং সম্পাদক। দেশী-বিদেশী পুরস্কারে সম্মানিত – সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, বিবেকানন্দ পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, বিদ্যাসাগর পুরস্কার, শরৎ পুরস্কার (ভাগলপুর),জগত্তারিণী মেডেল, সরোজিনী বসু মেডেল, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর লেকচারশিপ পুরস্কার (এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা), নিউইয়র্ক বেদান্ত সোসাইটি শতবার্ষিকী পুরস্কার ইত্যাদি। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সাম্মানিক ডিলিট। নিউইয়র্ক এবং লসএঞ্জেলেস বঙ্গসম্মেলনে দুবার নিমন্ত্রিত অতিথি। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ট্রাস্টি। দীর্ঘ অসুস্থতার পরে ৬ জুলাই ২০১৪এ রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠানে ছিয়াশি বছর বয়সে প্রয়াণ।