বঙ্কিমচন্দ্রের কৃষ্ণকান্তের উইল
- প্রতাপরঞ্জন হাজরা
বিধবা বিবাহে অভ্যস্ত নয় সমাজ তখন। আবার বহুবিবাহের অভ্যাস বদলের কালও খুব বেশী প্রাচীন হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে ভ্রমর-গোবিন্দলাল-মোহিনী পরস্পরের সামনে এসে দাঁড়ালো। অভিমানী প্রেম নিয়ে ভ্রমর গোবিন্দলালের দিকে তাকাল। আত্মমর্যাদার এক ভিন্ন সংজ্ঞা রাখল সেযুগের বুক ফাটা মুখ না ফোটা নারীর কাছে। স্বার্থ ও যৌবনের তাড়নায় রোহিনীর জীবননাট্যে বড় গোলমাল হয়ে গেল। তার মৃত্যু সাহিত্যমোদীর মনে চিরকালের প্রশ্ন রেখে যায়। বিতর্ক ওঠে বঙ্কিমের নীতি-কঠোরতা নিয়ে। আর গোবিন্দলালকে ভালোবাসার তৃষ্ণা সন্ন্যাসের তৃপ্তির দিকে নিয়ে যায়। মানব জীবননাট্যের এইসব কুশীলবদের আবারও ফিরে দেখা হল একালের চোখে আরো একবার এই দুই মলাটের পরিসরে।