ভারতীয় সাহিত্যের তুলনামূলক ইতিহাস
- বিপ্লব চক্রবর্তী
এই মহাগ্রন্থটি তুলনামূলক সাহিত্যের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব প্রয়াস। ভারতীয় সাহিত্যের তুলনামূলক ইতিহাস রচনার এটি প্রথম দৃষ্টান্ত। এই পর্যায়ে প্রথমে প্রকাশিত হল আধুনিক যুগ উপন্যাস খণ্ড। পরবর্তী পর্যায়ে নাটক, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও সমালোচনা প্রভৃতি খণ্ডগুলি প্রকাশিত হবে। বর্তমানে উপন্যাস খণ্ডটি ছয়টি পর্বে বিন্যস্ত। প্রথম পর্বে আছে ভারতীয় উপন্যাসের পটভূমির উন্মোচন। দ্বিতীয় পর্বে আছে ভারতীয় উপন্যাসের উদ্ভব (১৮৫৭ – ১৯০০) ও তুলনামূলক নিবিড় পাঠ তৎসহ বিশ্লেষণ। তৃতীয় পর্বে ভারতীয় উপন্যাস বিকাশের ধারাগুলি পৃথক পৃথক ভাবে আলোচিত হয়েছে। চতুর্থ পর্বে বাংলা ও অন্যান্য বিশিষ্ট ভারতীয়-ঔপন্যাসিকদের আলোচনা ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ। পঞ্চম পর্বে আছে ভারতীয় উপন্যাসের বিস্তারের বিবরণ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ (১৮৬৪ – ১৯৭৪)। ষষ্ঠ পর্বটি হল ভারতীয় উপন্যাস ও তুলনামূলক কালপঞ্জি।
প্ৰফেসর ড. বিপ্লব চক্রবর্তী, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক। অতিথি অধ্যাপকরূপে পড়িয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপুরা ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশে থেসালি বিশ্ববিদ্যালয় (গ্রীস) ও কেনিয়াট্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে (আফ্রিকা। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭০। ইংরেজিতে রচিত তার গবেষণাপত্র লা পম্পা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (আর্জেন্টিনা), তারতু বিশ্ববিদ্যালয় (এস্তোনিয়া) ও লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় (পাকিস্তান) থেকে প্রকাশিত। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অধ্যাপনা, বক্তৃতাপ্রদান ও আন্তর্জাতিক আলাোচনাচক্রে সভাপতিত্ব করেছেন। মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান মহম্মদ শাহ তাকে পুলরা স্বর্ণপদক প্রদানে সম্মানিত করেছেন (২০১৬)। এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁকে প্রদান করে ড. সুকুমার সেন স্বর্ণপদক (২০১০)। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রৌপ্যপদক দিয়েও তাকে সম্মান জানানো হয়। সৃষ্টিমূলক সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রেও তার (৭টি উপন্যাস, ১টি গল্প সংগ্রহ, ৪টি নাটক ও ১২টি কবিতা সংকলন) অবদান স্মরণযোগ্য।