ব্যোমকেশে শরদিন্দু : শরদিন্দুর ব্যোমকেশ
- বিবেক সিংহ
গ্রন্থটি মূলত ব্যোমকেশকেন্দ্রিক গোয়েন্দা গল্পগুলি সম্পর্কে একটি আলোচনা গ্রন্থ। ফলে ব্যোমকেশকাহিনীর গঠনশৈলী, চরিত্র অন্বেষণ, ভাষাশৈলী, রচনাগুলির সঙ্গে বিদেশি কাহিনীর সামঞ্জস্য, শরদিন্দুর মৌলিক প্রভাব প্রভৃতি নানা বিষয় আলোচ্য গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র ব্যোমকেশকাহিনী নিয়েই লেখক তার অনুসন্ধিৎসু মনকে সীমায়িত রাখেননি। গ্রন্থের গোড়ায় গোয়েন্দা গল্পের রচনার একটি সূত্র (formula) তৈরী করেছেন, যেটি গোয়েন্দা গল্পের গবেষণার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎকালের গবেষকদের পথ নির্দেশ করবে। এছাড়া বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যের এক সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও লেখক দিয়েছেন যার মধ্যে প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়, পাঁচকড়ি দে, দীনেন্দ্রকুমার রায়, মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রকুমার রায় প্রমুখ শরদিন্দুর পূর্বসূরীরা তো আছেনই সেইসঙ্গে আছে নীহাররঞ্জন গুপ্ত, সত্যজিৎ রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, নারায়ণ সান্যাল, বুদ্ধদেব গুহ, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, অদ্রীশ বর্ধন, হর্ষ দত্ত, সুচিত্রা মিত্র প্রমুখের মতো উত্তরসূরীদের সম্পর্কেও আলোচনা। গ্রন্থটি গোয়েন্দা গল্পের পাঠক ও গবেষকদের কাছে সুখপাঠ্য হবে বলেই আশারাখি।
জন্ম ১৯৫৫ সালের ২৯শে মে। ১৯৭১-এ উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চশিক্ষায় পদার্পণ। কিন্তু পারিবারিক কারণে শিক্ষা সমাপ্ত হওয়ার পূর্বেই একটি প্রখ্যাত বহুজাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মগ্রহণ। কর্মরত অবস্থাতেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ১৯৮৯ সালে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্ম পরিত্যাগ করে অধ্যাপনার কর্মগ্রহণ। অবশেষে নানাসমস্যার মধ্য দিয়ে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রী লাভ। অধ্যাপনা ছাড়াও অল্প অল্প সাহিত্য চর্চা, সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা ও নাট্যচর্চায় উৎসাহী।