জীবনানন্দের নারীকল্প ও অন্যান্য
- স্বপ্না ভট্টাচার্য
কথাকার স্বপ্না ভট্টাচার্য জীবনানন্দের কবিতায়, আখ্যানে মগ্ন রয়েছেন দীর্ঘদিন। প্রাতিষ্ঠানিক পাঠের ঘেরাটোপ পেরিয়ে জীবনানন্দ তাঁর নিজস্ব আঙিনায় কীভাবে ঢুকে পড়েছেন, এই গ্রন্থের বিভিন্ন ছোটবড়ো লেখায় তা ধরা রইল। গ্রন্থনার মুন্সিয়ানায় কীভাবে ঐকতান তৈরি হয়, পড়ুয়ারা তা লক্ষ করবেন এই প্রবন্ধ সংকলনে। খণ্ড সময়ের টুকরো-ছবিতে অপরূপ কোলাজ গড়ে উঠেছে এতে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিশ্লেষণে সম্পৃক্ত হয়েছে ব্যক্তিগত উপলব্ধির নানা মাত্রা। আছে লেখিকা হয়ে ওঠার কথাও। তাই এই গ্রন্থের একই অঙ্গে এত রূপ। প্রবন্ধ সংকলন হয়েও তা আত্মজীবনীর বিস্তৃত ভূমিকাও। স্বপ্না যেন চারিদিককার স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্ন নিয়ে জেগে থাকতে চান। এসব রচনার উৎসে বিদ্যায়তনিক দায় নেই কোনও। নিতান্তই বোধ থেকে, জীবন থেকে তুলে-আনা। সবৃন্ত এক ফুলবীথি। কেননা জীবন মানেই তো সমাজ-জীবন আর আত্মজীবনের লাগাতার দ্বিরালাপ।
স্বপ্না ভট্টাচার্য (জন্ম ১ নভেম্বর, ১৯৫৩) উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বিশিষ্ট গল্পকার ও অনুবাদক। ইতিমধ্যে তার দুটি ছোটগল্প-সংকলন প্রকাশিত হয়েছে : সমান্তরাল ও বাস্তুহীন। এছাড়া রয়েছে তার ‘হারুকি মুরাকামির নির্বাচিত গল্প’ নামক অনুবাদ-গ্রন্থ। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক-কর্মী স্বপ্না, বিশ্বাস করেন সাহিত্য নিরবচ্ছিন্ন সমাজ-পরিশীলনের অভিব্যক্তি। জীবনানন্দের কবিতায় পরাবাস্তবের উপস্থিতি সম্পর্কে গবেষণা করে তিনি গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ. ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। তপোধীর ভট্টাচার্যের সঙ্গে যুগ্মভাবে প্রকাশ করেছেন ‘জীবনানন্দ ও পরাবাস্তব’ নামক বহু প্রশংসিত প্রবন্ধগ্রন্থ। নিয়মিত পড়া এবং লেখা স্বপ্নার জীবন-যাপনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।