জ্যোতির্ময়ী দেবী : জীবন ও সাহিত্যে
- অনামিকা চক্রবর্তী
বাংলা থেকে বহুদূরে বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা স্রষ্টা জ্যোতির্ময়ী দেবী (২৩.০১.১৮৯৪ – ১৭.১১.১৯৮৮)। বাংলা থেকে বহুদূরে পশ্চিম ভারতের জয়পুরে কেটেছে তার বাল্য ও কৈশোর। বিবাহিত জীবনে স্বামীর সঙ্গে ছিলেন পাটনায়। পিতৃ ও পতি উভয় কুলেই ছিল সাহিত্য সংস্কৃতির খোলামেলা পরিবেশ। আন্তরিক তাগিদ আর পারিবারিক পৃষ্ঠপোষকতায় সাহিত্য সৃষ্টিতে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। রাজস্থানের রাজন্য শাসিত জনজীবনের নানা দিক নারী মনের উপলব্ধির আলোকে তিনি তাঁর সাহিত্যে তুলে ধরেছেন অনায়াস দক্ষতায়। জ্যোতির্ময়ী দেবীর সাহিত্যের এই অনন্যতা, পূর্বসূরী ও সমকালীন নারীর রচনার ধারায় জ্যোতির্ময়ী দেবীর মৌলিকতা নারীচেতনাবাদের প্রেক্ষাপটে | বিশ্লেষিত হয়েছে বর্তমান গ্রন্থে।
দক্ষিণ আসামের শিলচর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুরুচরণ কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। গুরুচরণ কলেজ থেকে বাংলায় সাম্মানিক সহ স্নাতক (১৯৯৪)। আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর (১৯৯৬)। মেধা তালিকার শীর্ষে থাকায় স্বর্ণপদক লাভ। গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জ্যোতির্ময়ী দেবী : নারীচেতনাবাদের দৃষ্টিতে’ শীর্ষক বিষয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ (২০০৮)। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালিখি শুরু। অধ্যয়নের ক্ষেত্র মূলত প্রবন্ধ ও সাহিত্য সমালোচনা। প্রিয় বিষয়—সাহিত্যতত্ত্ব। উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এবং সঙ্কলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত রচনা পাঠক মহলে অভিনন্দিত হয়েছে।