কোচবিহারের লোকসংস্কৃতি : বহুমাত্রা বহুস্বর
- আব্দুর রহিম গাজী
জেলা ভিত্তিক ক্ষেত্র সমীক্ষার মাধ্যমে লোকসংস্কৃতির গবেষণাকর্মের একটি মডেল হল গ্রন্থটি। একদিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজ, অন্যদিকে প্রাপ্ত তথ্যকে সঠিকভাবে বিন্যস্ত করে বিশ্লেষণের কাজ — দু’দিকেই সতর্ক দৃষ্টি রেখে গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি রচিত। কোচবিহারের লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতির নানা দিককে গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণের পাশে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তার উপস্থাপনের দিকটিও উঠে এসেছে। উলম্ব ও আনুভূমিক দু’দিক থেকেই বিষয়বস্তুর নিবিড় পর্যালোচনা গ্রন্থটিকে বিশালতা দিয়েছে। গ্রন্থটি পড়লে লোকসংস্কৃতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশান্বিত হতেই হবে।
উত্তর চব্বিশ পরগণার বাদুড়িয়া থানার পিয়াড়া গ্রামে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৭০ সালে জন্ম। বসিরহাট কলেজ থেকে বাংলায় সাম্মাণিক স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতকোত্তর। ২০০৫ সালে ‘উত্তর ২৪ পরগণার মুসলিম লোকজীবনের সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ বিষয়ে গবেষণা করে পি.এইচ.ডি. লাভ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উলেখযোগ্য গ্রন্থ—‘তারাশঙ্করের উপন্যাসে প্রকৃতিজগৎ ও লোকৰ্জীবন’ এবং ‘কোচবিহারের লোকসংস্কৃতি : বহুমাত্র বহুস্বর’। ২০০৯ সালে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা কলেজে অধ্যাপনার কাজ শেষ করে মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার রত আছেন।