মহাবিদ্রোহের একটি দুষ্প্রাপ্য উপন্যাস ও অন্যান্য
- কণিকা বিশ্বাস
ব্রিটিশ অধীনতাপাশ ছিন্ন করে ভারতবাসীর স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম যুদ্ধ ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহের সার্ধশতবর্ষ অতিক্রান্ত হয়েছে। ঐ ঐতিহাসিক ঘটনাটির পুনর্মূল্যায়ন প্রচেষ্ঠায় বহু লেখালেখি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। এই বই সেই ধারারই একটি নূতন সংযোজন বলা যায়। এখানে মহাবিদ্রোহ প্রসঙ্গে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কালীপ্রসন্ন সিংহ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখ বিশিষ্ট কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর প্রতিক্রিয়ার মূল্যায়ন আছে। আর আছে মহাবিদ্রোহের উপরে লেখা একটি দুষ্প্রাপ্য উপন্যাস “ভারতের সুখস্বপ্ন’!! নানাসাহেব বা (ব্রিটিশ গৌরব রবি ভারত গগনে”)। এখানে সেযুগের পক্ষে দুর্লভ সাহসের পরিচয় দিয়ে লেখক নানাসাহেবের অভ্যুত্থানকে স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে চিহ্নিত করেছেন। মহাবিদ্রোহের উপরে লেখা গল্পসংগ্রহ ইতিমধ্যে মুদ্রিত হয়েছে কিন্তু প্রাসঙ্গিক উপন্যাসগুলি সম্পর্কে তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। অথচ লোকসমক্ষে এগুলিও আসার প্রয়োজনীয়তা আছে। ইতিহাসের উত্তরাধিকার মানুষের দরবারে নিবেদন করার উদ্দেশ্যে এই বইটি প্রকাশিত হলো।
কণিকা বিশ্বাসের জন্ম ১৯৫৯ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা অনার্সে দ্বিতীয় স্থান, এম.এ. পরীক্ষাতে তৃতীয় স্থানাধিকারিনী। রবীন্দ্রনাথের উপর লিখিত প্রবন্ধের জন্য এখান থেকেই ‘মোক্ষদাসুন্দরী’ স্বর্ণপদক পেয়েছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বি.এড. পরীক্ষাতে প্রথম স্থান পাওয়ার কারণে সেখানকার ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদকে’র প্রাপক। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েই পি.এইচ.ডি.। গবেষণাপত্রের শীর্ষনাম ‘ভারতীয় মহাবিদ্রোহ (১৮৫৭) : বাঙালি বুদ্ধিজীবীর দৃষ্টিভঙ্গি। (১৮৫৭-১৯৫৭)'। পূর্বপ্রকাশিত গ্রন্থ ‘ছায়াদর্পণে মহাশ্বেতা’ ও ‘অনুসন্ধানে মহাশ্বেতা'। মহাশ্বেতা দেবী ছাড়াও বিশেষ আগ্রহ নারীপ্রসঙ্গে, শিক্ষাপ্রসঙ্গে এবং রবীন্দ্রনাথে। মানবচৈতন্যের অমল আস্বাদ কবিতাতে খুঁজে পান। মূলতঃ আবৃত্তিকার হিসাবে আকাশবাণীর ‘যুববাণী’ শাখার সাথে যুক্ত ছিলেন। পেশায় অধ্যাপক। পদমর্যাদায় ‘অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর’। আগে ‘কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজে’ কাজ করেছেন। বর্তমান কর্মস্থল ‘দুর্গাপুর সরকারি কলেজ’।