মুনীর চৌধুরীর কবর ও অন্যান্য একাঙ্ক
- চন্দন খাঁ
পশ্চিমবঙ্গে মুনীর চৌধুরীর নাটক নিয়ে সেভাবে চর্চা হয়নি। অথচ ভাষা আন্দোলনের নাটক হিসাবে ‘কবর’ আজো সর্বশ্রেষ্ঠ। আমাদের রাজ্যে ভাষাদিবস মানে শুধু মাত্র ক্যালেন্ডারের একটি দিন—২১ শে ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষদের বুকের মধ্যে প্রতিদিনই ২১-শে ফেব্রুয়ারি। বর্তমান লেখক এই গ্রন্থে ‘কবর’ এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি একাঙ্ক নাটকে সেই সময়কার রাজনৈতিক উত্তাপ, সংঘর্ষ, অমানবতার দিকগুলি চিহ্নিত করে। মুনীরের নাটকের স্বাতন্ত্র খোঁজার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি বিদেশী নাটক মুনীরকে কতখানি কেমনভাবে প্রভাবিত করেছিল তারও তুলনামূলক আলোচনা করেছেন। ফলে গ্রন্থখানি পাঠক ও গবেষকদের কাছে নাট্যকার মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে আগ্রহ জাগাবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
জন্ম : হুগলী জেলার আরামবাগ থানার মধুরপুর গ্রামে।
শিক্ষা : প্রাইমারি পর্যন্ত গ্রামের স্কুলে, উচ্চমাধ্যমিক কেশবপুর মহেন্দ্র ইনস্টিটিউশনে। রাজা রামমোহন। রায় মহাবিদ্যালয় (রাধানগর, হুগলী) থেকে বাংলায় স্নাতক। রবীন্দ্রভারতী থেকে স্নাতোকত্তর ও এম.ফিল.। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি.
অধ্যাপনা : আরামবাগ গার্লস কলেজ ও কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম মহাবিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর সুনামের সঙ্গে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে পরিমল মিত্র স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে (মাল, জলপাইগুড়ি) অধ্যাপনারত।
লেখালেখি : কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধের পাশাপাশি সাহিত্য সমালোচনার জগতে তরুণ বয়সেই সুখ্যাত।
শখ : আবৃত্তিচর্চা, নাটকাভিনয়, পত্রিকা সম্পাদনা, ছেলের সঙ্গে ফুটবল খেলা, সহজ সরল ভেজালহীন মানুষদের সঙ্গে নির্মল আড্ডা ও বন্ধুত্বের সীমানা বৃদ্ধি করা।