নদীয়া জেলার লোকধর্ম
- প্রবীর প্রামাণিক
নদীয়ার বুকে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন শ্রীচৈতন্য, যিনি জাতিভেদ প্রথাকে সাধারণের ঈশ্বর আরাধনায় ভক্তিকেই উপজীব্য করেছিলেন, এমনকি ভক্ত ও ভগবানের মধ্যকার অনুঘটকদেরও যিনি মান্যতা দেননি, লোকধর্মগুলিকে যেন। তারই প্রতিভাস লক্ষ্য করা গেল। চৈতন্যদেবই কী তাহলে ক্ষুব্ধ অপমানিত অন্ত্যজদের মধ্যে আত্মসম্মানবোধের উদ্বোধনে স্পর্ধিত ভূমিকা নিয়েছিলেন, নাকি চৈতন্য প্রভাববিযুক্ত হয়েই লোকধর্মগুলির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল? কোন্ প্রেক্ষিতে নদীয়ার লোকধর্মগুলির আত্মপ্রকাশ, চৈতন্যদেবের সঙ্গেই বা এদের সম্পর্ক কি, প্রতিটি লোকধর্মকে অণুপুঙ্খ বিশ্লেষণের মাধ্যমে নদীয়ারই ভূমিপুত্র বর্তমানে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক, প্রবীর প্রামাণিক তার অনুসন্ধানে ব্রতী হয়েছেন। গ্রন্থটি বিষয়গত কারণে এবং অভিনব বিশ্লেষণের জন্য সমাজসচেতন অনুসন্ধিৎসু পাঠকের কৌতূহলকে জাগ্রত করবে এবং নানা প্রশ্নের সদুত্তরে তৃপ্ত করবে আশাতীত ভাবে।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর নদীয়া জেলার লোকধর্ম ও তার সাহিত্য বিষয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। প্রথমে শ্যামসুন্দর কলেজ ও পরে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনায় যুক্ত হন। ইউ.জি.সি.-র অর্থানুকূল্যে “The Subaltern Religious Communities of Nadia : Origin, Evolution and Current State" বিষয়ে মেজর রিসার্চ প্রোজেক্টের কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমানে পথনাটক বিষয় নিয়ে ইউ.জি.সি. থেকে পোষ্ট ডক্টরাল ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। ড. প্রামাণিকের অনেক প্রবন্ধ ও গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : ‘উনিশ ও বিশ শতকের নির্বাচিত প্রবন্ধকার’।
সম্পাদিত গ্রন্থ : বাংলা শিশু ও কিশোর সাহিত্য : আধুনিক বিচার। প্রবন্ধ সংখ্যা : ৩৫।