নন্দনে আনন্দ তুমি রবীন্দ্রনাথ
- মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়
রবীন্দ্রনাথ বাঙালি মানসে এমনই এক বিস্ময় যে, তার সমগ্রতাকে স্পর্শ করতে চায় মানুষ। জানতে চায় তার জীবনের স্রোতকে। রবীন্দ্রানুরাগ বীজমন্ত্র হয়ে উজ্জীবিত করে চেতনাকে একথা সত্য, কিন্তু সময় সময় এই অনুরাগ রবীন্দ্রনাথকে ‘মিথ’ করে তুলেছে — ধরাছোঁয়ার বাইরে এক অতীন্দ্রিয় আভাস যেন। কিন্তু তা তো তিনি নন। তিনি পরিপূর্ণ এক মানুষ। নৈমিত্তিক ভালোলাগা-মন্দলাগার। ঘেরাটোপের বৃত্ত তাকেও ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছে। তার জ্যোতির্ময় সান্নিধ্যে ছিল ভুমি থেকে ভূমার উড়ান—“মানুষকে দেবতা বানিয়ে, আবার তাকে দেবতার চেয়ে মহত্তর মানুষ করে তোলার’ ক্ষমতা ছিল তার — আর এই অলৌকিক ক্ষমতা তার জন্মের দেড়শো বছর পরেও আছে। একমাত্র তারই আছে। তাই তাকে জানতে চাওয়া। রবীন্দ্রনাথ নিজেও তো কোনো কিছু গোপন করেননি কখনো, বরং তিনি বলেছেন—“দরজা খুলে দাও, যদি আমার ভিতরে এমন কিছু থাকে যা তারা দেখতে চায় তবে দরজা বন্ধ করবার অধিকার তো আমার নেই’। এই গ্রন্থটি পরিপূর্ণ এক মানুষ রবীন্দ্রনাথকে দেখতে চাওয়া।
অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্রগবেষক। চার দশক ধরে বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব মননশীলতায় সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব। হিন্দি ভাষাকে আয়ত্ত করেছেন মাতৃভাষার মতো। তার পি.এইচ.ডি. ও ডি.লিট. দুটি গবেষণাই হিন্দি ও বাংলা সাহিত্যের তুলনামূলক অধ্যয়ন। ভারত সরকারের । সংগীত নাটক আকাডেমির রাজ্য প্রতিনিধি ছিলেন দীর্ঘদিন, ছিলেন নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের কেন্দ্রিয় মুখপত্রের সম্পাদক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ—‘আনিয়াছি প্রবাসের সুখ’ (রবীন্দ্রজীবনে অখণ্ড বিহার), ‘মৃত্যুঞ্জয় রবীন্দ্র’, ‘না রাধা না রুক্মিণী’, ‘বহতা সময়ের গল্পচর্চা’, ‘সবুজ টিপ’, ‘হৃদয় অরণ্য’, ‘সে আমার সহোদর’ ইত্যাদি। প্রকাশিতব্য গ্রন্থ : ‘সন্ন্যাসী ও রাজা’ (স্বামী বিবেকানন্দ ও রাজা অজিত সিংহ), ‘রবীন্দ্রজীবনে উত্তরপ্রদেশ’ ইত্যাদি।