পাঠকের মুখোমুখি
- লোথার লুৎসে । অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
অক্ষরের শব্দ-নৈঃশব্দ্যের মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ থাকে লেখক আর পাঠকের সম্পর্ক? তারপরও কি কিছু জিজ্ঞাসা লেগে থাকে না পাঠকের মনের কার্নিশে? অথবা লেখকও কি পাঠকের আয়নায় প্রতিনিয়ত নতুন হয়ে ওঠা তার নিজের প্রতিবিম্বকে খুঁজে ফেরেন না? কেমন হয় যদি একটুকরো অবকাশে হঠাৎ করেই তাদের মুখোমুখি দেখা হয়ে যায় ? সেইরকমই এক অবসরের কিছু প্রশ্নে, কিছু উত্তরে বিখ্যাত সাহিত্যিকদের অসামান্য কিছু শিল্পকর্মের নিভৃত ও নেপথ্য তত্ত্বটি এখানে নিবদ্ধ থাকল। বুদ্ধদেব বসুর ‘মৌলিনাথ’, সমরেশ বসুর ‘বিবর’ কিংবা সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক’ অথবা বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘মুণ্ডহীন ধড়গুলি আল্হাদে চিৎকার করে’-র মত চোদ্দজন সাহিত্যিকের এক একটি সৃষ্টিকে ঘিরে গড়ে ওঠা ভাবনা ও ভবিতব্যের একান্ত কিছু কথোপকথন ধরা থাকল এখানে। জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোথার লুৎসে এবং অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত এই মর্মে যে প্রবর্তনা ঘটিয়েছিলেন তারই ফলশ্রুতি এই সংকলনে গ্রথিত হল।
লোথার লুৎসে : নব্য ভারততত্ত্বের অন্যতম প্রবর্তক, জার্মানিতে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতনামা অধ্যাপক। অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ও গুন্টার সোঠাইমার-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিখ্যাত ‘হাইডেলবার্গ’ চিন্তাধারার (HETDELBERGER SCHULE) Toy হিসেবে সুপরিচিত। অলোকরঞ্জনের সঙ্গে সমকালীন ভারতসাহিত্যের বিভিন্ন কবির কবিতা সরাসরি মূল থেকে জার্মানে অনুবাদ করেছেন।