পৃথ্বীচন্দ্রের গৌরী-মঙ্গলকাব্য : সৃষ্টি ও নির্মাণ
- দীপু হালদার
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘মধ্যযুগ’ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই কাল প্রবাহে মঙ্গলকাব্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মঙ্গলকাব্য ধারার প্রবাহমানতার একেবারে অন্তিমলগ্নে পৃথ্বীচন্দ্র ‘গৌরী-মঙ্গল’ কাব্যটি রচনা করেন। এই কাব্যটি প্রচলিত মঙ্গলকাব্য ধারা থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। পৃথ্বীচন্দ্র-ই প্রথম শক্তির প্রকৃতি, ব্রহ্মের সৃষ্টি লীলা এবং দর্শনের ছয়টি প্রস্থানের সত্য ‘গৌরী-মঙ্গল’ কাব্যে তুলে ধরেন। কবি তাঁর কাব্যে প্রাচীন সাহিত্য গ্রন্থগুলির দীর্ঘ তালিকা দেন। ফলে হারিয়ে যাওয়া অনেক গ্রন্থের অনুসন্ধান ও আবিস্কার সম্ভব হয়েছে। সমালোচনা ও বিশ্লেষণীর মাধ্যমে এ কাব্যের নিখুঁত চিত্র অঙ্কনে সম্পাদকের ভূমিকা অপরিসীম। সব মিলিয়ে বলা যায়, ‘গৌরী-মঙ্গল’ কাব্যটি আগামী প্রজন্মের মধ্যযুগ অনুরাগী ও গবেষকদের অনুপ্রাণিত করবে।
জন্ম ১৯৯১, নদীয়া জেলার পায়রাডাঙ্গার প্রীতিনগরে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ (২০১২)। ঐ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (২০১৪) ও বি.এড. ডিগ্রী লাভ (২০১৫)। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল. ডিগ্রী লাভ (২০১৭)। অধ্যাপনা শিবপুর দীনবন্ধু ইনস্টিটিউশন কলেজের বাংলা বিভাগে। তার সবিশেষ অনুসন্ধানের ক্ষেত্র হলো মধ্যযুগ। যদিও আধুনিক কাব্য-সাহিত্যের তিনি একজন তন্নিষ্ঠ পাঠক। ভালো লাগা বই পড়া ও মৌলিক লেখালেখি করা। বেশ কিছু পত্র-পত্রিকায় মধ্যযুগ ও আধুনিক কাব্য-উপন্যাস নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন ও ধারাবাহিকভাবে লিখে চলেছেন।