রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা
- রতনকুমার নন্দী
আত্ম অনুসন্ধানের ঠিক কতগুলো পথ থাকে? প্রেমের স্বরূপ চিনতে চিনতেই কি সে নিজেকে চেনে? নাকি মননতীর্থের যাত্রাপথেই তার পরিচয় ছড়িয়ে থাকে? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা তেমনই এক কালজয়ী সৃষ্টি যেখানে কবির লেখনীজাত নতুন কালেরই এক কবি তাঁকে বিচার করেছেন। ঠিক কতটা আত্মসচেতন হলে স্রষ্টার প্রতিবিম্বে এমনভাবে এক আত্মবিশ্বাসী আত্মদ্রষ্টার রূপ ফুটে ওঠে। কতটা জীবন পার হলে এমন ছেড়ে রেখে বাঁধার অনুভবে পৌঁছনো যায়? চেনা যায় সম্পর্কের তিক্ততাহীন অনন্তের সীমানাকে? কালজয়ী এই সৃষ্টির সামনেই আরো একবার নিবিড়ভাবে নতজানু হল একালের এক বিশ্লেষণ তীক্ষ্ণ পাঠকমন। তার সেই অনুভবগুলি উঠে এল এই দুই মলাটের প্রবন্ধ বিন্যাসের শব্দ ও নৈঃশব্দ্যের মধ্যে।