রূপে অরূপে বিবেকানন্দ দ্বিতীয় খন্ড
- সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
স্বামী বিবেকানন্দের জীবন-কাহিনীতে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রাচীন বেদান্ত ধর্ম প্রচারের বাণী-রূপটি এক বিরল ঐশ্বরিক সৌন্দর্য মণ্ডিত হয়ে উঠেছিল। লেখকের গ্রন্থটি তারই সংকলন, যা পর্বে পর্বে সংলাপ, কাথোপকথন এবং নাট্যরূপে প্রথিত হয়েছে। সম্পূর্ণ নুতন আঙিকে বিধৃত কাহিনীগুলি – স্বামীজীর পরিব্রাজক কাল থেকে শুরু করে বিদেশে বেদান্ত প্রচার এবং বিজয়-মাল্যে ভূষিত হয়ে ভারতে প্রত্যাবর্তন, শেষে দ্বিতীয়বার বিদেশ যাত্রা। বেদান্তের তত্ত্ব জীবনের সর্বত্র কার্যে পরিণত করতে হবে। তাই আধুনিক ভারতের নবজাগরণ মন্ত্রে প্রথম পূজা হোক – বিরাটের পূজা, সেবা নয়। এই ছিল স্বামীজীর অশরীরী বাণী।
শ্ৰী বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্যের আঙিনায় একেবারে নতুন মুখ। তাঁর জন্ম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়, হাওড়ার শিবপুরে বড় হয়ে ওঠা। কলকাতা এবং আই.আই.টি. ঘড়গপুর ও তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা প্রাপ্ত হয়ে তিনি আই.আই.টি.তেই অধ্যাপনায় নিযুক্ত ছিলেন। বিজ্ঞান ও টকনোলজির ছাত্র, কিন্তু স্কুল জীবনেই প্রবল সাহিত্য অনুরাগ থেকে বই-ই ছিল তাঁর প্রথম পছন্দের বিষয়বস্তু। যে কোন বিষয়ে পড়াশোনা এবং লেখা তার নেশায় পরিণত হয়। কর্মজীবনে তিনি আই আই টি ক্যাম্পাসে এবং মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ পরিমণ্ডলে ঋদ্ধ হতে থাকেন। রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্য-চর্চাই তাঁর অবসর জীবনের মূল জীবনধারা।