শ্রীরামকৃষ্ণ বলয় ও ইসলাম ধর্ম
- শেখ মকবুল ইসলাম
ধর্ম-সমন্বয়ের তুরলিত স্লোগান নয়, বরং সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যে ভরা প্রত্যয়ের গান। সাকার-নিরাকারের অপরিণত দ্বন্দ নয়; নিঃশ্বাস আর বিশ্বাসের মাঝে বেদান্ত-কোরান যেখানে এক-আকার, তেমন এক ‘স্পেস’ পাঠকের জন্য উন্মুক্ত করতে চেয়েছেন লেখক। ‘শ্রীরামকৃষ্ণ স্টাডি’ এবং ‘ইসলাম স্টাডি’ - এই দুইয়ের সংবন্ধনে উঠে এসেছে ঠাকুর-মা-স্বামীজী এবং অনুসারী বলয়ের ইসলাম ভাবনার অজ্ঞাতমাত্রিক বহু সত্য। অত্যাধুনিক গবেষণা পদ্ধতির ব্যবহার, লিটারেচার সার্ভে, ফিল্ড ওয়ার্ক ভিত্তিক তথ্য, হিস্টরিওগ্রাফিক্ বিশ্লেষণ এবং আধ্যাত্মিকতার চৈতন্য - এই গ্রন্থটির সন্ত্রম-জাগানো মৌলিকতা।
তাঁর কলমে এক সমুদ্র উদ্বেল উপলব্ধি। তার প্রতিটি বর্ণলিখনে, হিমালয়ের নি’নড় প্রত্যয়। তাঁর জিজ্ঞাসার বহুধা-দৃষ্টি, পরিব্যপ্ত হয়েছে দিগন্তে। লোকসংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে, বিগত ১৯ বছর ধরে, নিরলস কাজ করে চলেছেন। কলকাতার দি এশিয়াটিক সোসাইটির লোকসংস্কৃতির গবেষক হিসাবে জীবন শুরু। তুলনামূলক লোকসংস্কৃতি বিষয়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. উপাধি লাভ। স্বদেশে-বিদেশের একাধিক আলোচনাচক্রে, লোকসংস্কৃতির নানামাত্রিক আলোচনা করেছেন। কেবল ভারতবর্ষ নয়, এই উপমহাদেশে, লোকসংস্কৃতিবিজ্ঞানের একজন প্রত্যয়ী গবেষক তিনি। বহুমুখী যোগ্যতার সংহতি ও বিন্যাস, তার ব্যক্তিত্বের প্রধান গুণ। তাঁর গবেষণার বিষয়-বৈচিত্র্য বিস্ময় উদ্রেক করার মত। বাংলা ভাষায় লোকসংস্কৃতিবিজ্ঞান বিষয়ক তাত্ত্বিক আলোচনার অন্যতম রূপকার ড. শেখ মকবুল ইসলাম, বর্তমানে কলকাতার সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজে বাংলা সাহিত্যের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। এছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির এবং রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক অতিথি অধ্যাপক।