ভারতচন্দ্র ও অন্নদামঙ্গল
- ভবেশ মজুমদার
বাংলা মঙ্গলকাব্যগুলি আখ্যান নির্ভরতার মধ্যেও বাস্তবতার প্রয়োগে হয়ে উঠেছে জীবন রসে ভরপুর। কালের গণ্ডি অতিক্রম করে তা আধুনিক সাহিত্যের পাশে বসে দেখিয়েছে পুরনো পুরনো সাহিত্য জীবন এড়িয়ে যায়নি। অন্নদামঙ্গল সেইজন্যই দেবসমাজের উপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাকে মিশিয়ে অভূতপূর্ব আধুনিকতার সূচনা করেছে। ভক্তির স্থানে যুক্তি স্থান পেয়েছে বলেই দেবতার গায়ে উড়ে এসেছে ধুলো-বালি। আলোচ্য গ্রন্থে গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ সমূহের সরস-অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ আছে, শব্দ পরিচয় সম্বন্ধে যথাযথ আলোচনা রয়েছে, জটিল দিকগুলি সহজভাবে পরিবেশিত হয়েছে। স্বভাবতই সমগ্র গ্রন্থটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
ড. ভবেশ মজুমদার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন যথাক্রমে হাজার ১৯৯৫ ও ১৯৯৭ সালে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য মূলত তার আগ্রহের জায়গায়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক তাপস বসুর তত্ত্বাবধানে মঙ্গলকাব্য-গবেষণা করেছেন।সুধীজন কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে তার "মঙ্গলকাব্য আর্য-অনার্য সংস্কৃতি সমন্বয়" গবেষণা কর্মটি। লোকসংস্কৃতির প্রতিও রয়েছে তার সমান ভালবাসা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি অর্থানুকূল্যে "গাছি সম্প্রদায় জীবন ও সংস্কৃতি" শিরোনামে অনু-গবেষণা করেছেন। বর্তমানে সুধিরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে (মাজদিয়া) সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত।