লোককথার কথনশৈলী তুলনামূলক মহাদেশীয় ফোকলোর
- বিপ্লব চক্রবর্তী
“লোককথার কখনশৈলী তুলনামূলক মহাদেশীয় ফোকলোৱ” গ্রন্থে তুলনামূলক ফোকলোর (Comparative Folklore) re চর্চার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত। মূলত অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের লোককথার কথনশৈলী বিশ্লেষণ শুধু অভিনব নয়, বাংলা সাহিত্যে অনাস্বাদিত। মহাদেশীয় লোককথার তুলনামূলক বিচার ও বিশ্লেষণ বাংলা ফোকলোর চর্চাকে নতুন আলো দেখাবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বাংলার ঠাকুরমার ঝুলি, টুনটুনির বই সহ পঞ্চতন্ত্র, বেতালপঞ্চবিংশতি ও অন্যান্য ভারতীয় লোককথার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ পাঠ করলে এই গ্রন্থের অভিনবত্ব অনস্বীকার্য হয়ে উঠবে নির্ধিধায়। আটটি পরিশিষ্ট দেশবিদেশের লোককথার তন্নিষ্ঠ পরিচয় সন্নিবিষ্ট, তৎসহ রয়েছে আর্জেন্টিনা থেকে প্রকাশিত বিপ্লব চক্রবর্তীর লোকভরণ শৈলী বিষয়ে ইংরেজিতে রচিত গবেষণা পত্রের প্রতিলিপি।
প্ৰফেসর ড. বিপ্লব চক্রবর্তী, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক। অতিথি অধ্যাপকরূপে পড়িয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপুরা ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশে থেসালি বিশ্ববিদ্যালয় (গ্রীস) ও কেনিয়াট্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে (আফ্রিকা। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭০। ইংরেজিতে রচিত তার গবেষণাপত্র লা পম্পা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (আর্জেন্টিনা), তারতু বিশ্ববিদ্যালয় (এস্তোনিয়া) ও লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় (পাকিস্তান) থেকে প্রকাশিত। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অধ্যাপনা, বক্তৃতাপ্রদান ও আন্তর্জাতিক আলাোচনাচক্রে সভাপতিত্ব করেছেন। মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান মহম্মদ শাহ তাকে পুলরা স্বর্ণপদক প্রদানে সম্মানিত করেছেন (২০১৬)। এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁকে প্রদান করে ড. সুকুমার সেন স্বর্ণপদক (২০১০)। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রৌপ্যপদক দিয়েও তাকে সম্মান জানানো হয়। সৃষ্টিমূলক সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রেও তার (৭টি উপন্যাস, ১টি গল্প সংগ্রহ, ৪টি নাটক ও ১২টি কবিতা সংকলন) অবদান স্মরণযোগ্য।