মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে হাস্যরস
- সুনীল কুমার রায়
মধ্যযুগের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পল্লবিত হয়েছিল মূলতঃ গদ্যশৈলীকে আশ্রয় করে। কোচবিহার রাজ নরনারায়ণের পত্রখানি (১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দ) গদ্যশৈলীর আবিষ্কৃত সর্বপ্রাচীন নিদর্শন হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরে গদ্য আলোচনায় চিঠি, দলিল স্থান করে নিল। প্রকাশিত হল বেশ কিছু সংকলন গ্রন্থ। সেগুলিতে সমাজ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনাও সন্নিবিষ্ট হল। কোথাও কোথাও উল্লিখিত হল এগুলির ভাষাতাত্ত্বিক গুরুত্বের কথাও। কিন্তু অভাব ছিল পূর্ণাঙ্গ ভাষাতাত্ত্বিক পর্যালোচনার। সেই অভাব পূরণ .. করার লক্ষ্যেই এই প্রয়াস।
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় পি.এইচ.ডি., এম.ফিল., এম. এ. করেছেন। ছোটোবেলা থেকে কঠিন লড়াই করে এই পর্যন্ত এসেছেন। কঠিন লড়াইয়ে বাঁচার প্রেরণা, পাথেয় লেখা-লিখি। কবিতা, প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকায় নানা সময়ে বেরিয়েছে। কবিতা লেখা ও তার মধ্য দিয়ে নিজের অস্তিত্ব খোঁজেন। কবিতায় ঈশ্বর। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য নিয়ে বিশেষ আগ্রহ, যার মধ্য দিয়ে খুঁজে পান বাঙালি পরিচয়ের নাড়ির টান।। প্রাণের স্পর্শ। আর সেই মুখরতা নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ প্রমুখকে জীবন পাথেয় করে এগিয়ে চলেছেন। বর্তমানে গুরুদাস কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক।
২০০৬ থেকে গুরুদাস কলেজে (কলকাতা) সহ-অধ্যাপক রূপে কর্মরত। মধ্যযুগের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা (Ph.D-র জন্য গবেষণাপত্র বা অভিসন্দর্ভ জমা দিয়েছেন) শেষ করেছেন।
প্রকাশিত বই—
১। অষ্টাদশ শতাব্দীর বৈষ্ণব মহাজন ও তাদের পদ।
২। ঈশ্বরী তোমাকে (কাব্য)
৩। অলঙ্কার পরিচয়।
৪। ঈশ্বরকে মুঠোফোনে চিঠি (কাব্য)।
৫। ক্ষুধার্ত কবিদের কবিতা ও অন্যান্য প্রবন্ধ
৬। ঈশ্বর ও মুঠোভাষ সংবাদ ।