মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে পরকীয়া
- মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায়
গ্রন্থের নাম ‘মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে পরকীয়া’ হলেও প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্য অর্থাৎ ‘চর্যাপদ’ থেকে এর বিষয়-ভাবনার সূত্রপাত। এই গ্রন্থে পরকীয়াকে তাত্তিক ও মানবিক বা লৌকিক - এই উভয় দিক দিয়ে দেখার চেষ্টা আছে। বাস্তব জীবনে প্রেম ও পরকীয়া এবং সাহিত্যে তার রূপায়ণের। সঙ্গে সমাজ-প্রসঙ্গটিও বিশেষভাবে জড়িত। এই গ্রন্থে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ থেকে শুরু করে বৈষ্ণবপদাবলী, মঙ্গলকাব্য, অনুবাদসাহিত্য, ধর্মনিরপেক্ষ রোমান্টিক প্রণয়-আখ্যান, ময়মনসিংহগীতিকা এবং অন্যান্য কিছু প্রধান ও অপ্রধান সাহিত্যে নরনারীর প্রেম ও পরকীয়া প্রসঙ্গে চরিত্র এবং আখ্যানের আলোচনা করা হয়েছে। তৎকালীন যুগ ও সমাজ প্রসঙ্গ, সমাজে মেয়েদের স্থান, নর-নারীর সম্পর্ক এবং তার সূক্ষ্ম টানাপোড়েন, চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ, আর এসবের মধ্যে থেকে বড়ো হয়ে ওঠা লিঙ্গ-রাজনীতির কুফল ইত্যাদি বিষয়ও এখানে অনিবার্যভাবে স্থান পেয়েছে। বাংলা সাহিত্যের গতানুগতিক আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসে এই গ্রন্থ পাঠক-গবেষককে নতুন চিন্তার খোরাক জোগাবে।
ড. মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর এবং বর্তমান বিভাগীয় প্রধান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা। মধ্যযুগের বাংলাসাহিত্য, নাট্যসাহিত্য ও রবীন্দ্রসাহিত্য তার আগ্রহের জায়গা। বহু পত্র-পত্রিকায় এই বিষয়কেন্দ্রিক তার অনেক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। লেখিকার প্রকাশিত বইগুলি- “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পরিক্রমা’, ‘প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্যে নাট্যপ্রসঙ্গ ও নাট্যোপাদান’, ‘কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গল : জীবনবীক্ষার আলোকে’, ‘লোরচন্দ্রাণী ও সতীময়না : পুনর্বিচার’, ‘রবীন্দ্রনাথের মালিনী’ (সম্পাদিত), ‘শুভ জন্মদিন’, ‘নাচে জন্ম নাচে মৃত্যু’, ‘ঠাকুরবাড়ির দুই বধূ : নীপময়ী ও প্রফুল্লময়ী’, ‘অবনীন্দ্রনাথ : স্মৃতিসত্তার উজ্জ্বল উদ্ধার’ (সম্পাদিত)।