মেঘনাদবধ কাব্য : দেড় শতাব্দীর টানাপোড়েন
- শুভাশিস চক্রবর্তী
১৮৬১ সালের ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত মাইকেল মধুসুদন দন্ত প্রণীত 'মেঘনাদবধ কাব্য' রবীন্দ্রনাথের থেকে ঠিক চার মাসের বড়ো। পরবর্তী দেড় শতাব্দীতে এই দুই সম-বর্ষ-জাতককে নিয়ে কথা হয়েছে প্রচুর। বিশেষত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিদ্যালয় স্তরেও এই মহাকাব্যের অংশ বিশেষ পড়তে হয় বলে মেঘনাদবধ নানা চেহারায়। এমনকি উনিশ শতকে এর নাট্য বয়ান নিয়ে ভেবেছিলেন তৎকালীন গুণী নাটাবাক্তিত্বেরা; সেই রেশ টেনে গত দুই দশকে নাটক হিসেবে এর সমকালীন-সম্ভাবনাকে খুঁজে দেখতে চেয়েছেন কলকাতার চারটি নাট্যদল । কেন চেয়েছেন এবং তাদের সাফলা-ব্যর্থতার হয়েছে এই গ্রন্থে। এরই সঙ্গে গত দেড়শ বছরে এই কাবা নিয়ে প্রকাশিত অগণ্য উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধের থেকে রাজনারায়ণ বসু, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে ভবাতোষ দত্ত, দিব্যজ্যোতি মজুমদার, সুমিতা চক্রবর্তী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর মতো আঠারো জন লেখকের 'আলোচনা-সমালোচনা এর দুই মলাটে নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রন্থটির অন্যতম আকর্ষণ মধুকবির প্রাসঙ্গিক একুশটি চিঠির নির্বাচিত অংশ এবং টুকরো কথা বিভাগ যেখানে আছে অর্থনীতিবিদ অশোক মিত্রের অপ্রকাশিত চিঠি, মাংস বিক্রেতা মহম্মদ আজাদের সাক্ষাৎকার, যিনি “মেঘনাদবধ কাব্য অনর্গল আবৃত্তি করে যান রাম-রহিমের এই ছন্দ সমাসের যুগেও।
জন্ম ৯ জুলাই, ১৯৭৭ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। কলেজে বেশ কিছুদিন পড়িয়েছেন অতিথি অধ্যাপক হিসেবে : এই অভিজ্ঞতায় তার মনে হয়েছে ‘অতিথি’ গৃহস্থের কাছে দেবতুল্য হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আসলে তৃতীয় শ্রেনীভুক্ত জীব। তাই কলেজ ছেড়েছেন স্বনিয়োজিত শিক্ষকতাকে পেশা করে। অহর্নিশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এই লেখক স্বপ্ন দেখেন প্রবন্ধ লিখিয়েরাও একদিন ‘সেলিব্রিটি’ হবেন।