পুরাতনী নারী : ধর্ম সমাজ ও সাহিত্য
- অপর্ণা রায়
বাঙালিনির প্রগতির ইতিহাস আমরা শুরু করি উনিশ শতক থেকে। মেয়েদের সামাজিক ঊর্ধ্বায়নের পরিসংখ্যানও তৈরি হয় শহর কলকাতাকে কেন্দ্র করে। মানবীবিদ্যাচর্চায় প্রচলিত এই প্রবণতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে লেখা এই গ্রন্থ। ধর্ম, সমাজ ও সাহিত্যের ব্যাপ্ত ক্যানভাসে ছড়ানো পুরাতনী নারীদের যাপিত জীবন, তাদের স্তরান্তর, বহুস্বর এবং তাদের স্বাতিক্রমন নানাভাবে উঠে এসেছে এক মলাটে। উনিশ শতকীয় নারীদের আলোকিত আখ্যানমালার আড়ালে, অথচ সেই আলোর উৎসমুখে দাঁড়ানো তথাকথিত ‘অনাধুনিক’ এই মেয়েলি দিনযাপনের প্রক্ষেপ আমাদের গতানুগতিক চিন্তাভাবনায় কিছু জিজ্ঞাসাচিহ্নের জন্ম দিয়ে যায়, কোথাও কোথাও পুনর্বিবেচনার পরিসর তৈরি করে।... প্রতিটি প্রবন্ধই প্রাক-উনিশ শতকীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের পশ্চাৎপটে লেখা।
জন্ম : শ্রাবণ মাস, ১৩৭৪। বড় হয়ে ওঠা হুগলীর শ্রীরামপুর শহরে। প্রেসিডেন্সী কলেজের কৃতী ছাত্রী। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশুনোয় কৃতিত্বের জন্য পেয়েছেন তারকনাথ সেন স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মারক পুরস্কার এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্মারক পুরস্কার।
গবেষণা করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিষয় - প্রাগাধুনিক সাহিত্য ভাবনার প্রেক্ষিতে উনিশ শতকীয় প্রগতি’র শিকড় সন্ধান। অধ্যাপনা-জীবন শুরু শ্রীরামপুর কলেজে। বর্তমানে বাংলা বিভাগ, ভাষাভবন, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক।
বিশেষ আগ্রহ - অমুদ্রিত ও মুদ্রিত উপকরণসূত্রে বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে নারীর ভূমিকা অনুসন্ধান।। নানা পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লিখে থাকেন।
প্রকাশিত গ্রন্থ - ‘আঠোরে নিয়ে উনিশে-উনিশ শতকীয় সাহিত্যের শিকড় সন্ধান’, ‘পুরাতনী নারী-ধর্ম সমাজ ও সাহিত্য।
প্রিয় শখ – আকাশ দেখা ও গাছেদের যত্ন করা।
এখন ঠিকানা – সোনাঝুরিপল্লি, শান্তিনিকেতন।