রবীন্দ্রকাব্যের চলিষ্ণুতা
- বর্ণশ্রী বকসী
‘তোমায় গান শোনাব তাই তো আমায় জাগিয়ে রাখ / ওগো ঘুম-ভাঙানিয়া। বুকে চমক দিয়ে তাই তো ডাক’ / ওগো দুখজাগানিয়া’। আমাদের চিত্তচেতনায় সেই শৈশব থেকেই যাঁর ছায়া জড়িয়ে রয়েছে আদ্যপান্ত তিনি ঘুম ভাঙানিয়া বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিতার ক্রমঃমুক্তির সোপান সজ্জিত হয়েছে তার কবিতাকে কেন্দ্র করে। তিনি কবিতার হাত ধরেই আমাদের চিন্তার ঘুড়িকে অনেক ওপরে উড়তে সাহায্য করেছেন। চার দেওয়ালের বন্দি এক শিশুর ভাবনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল বদ্ধ ঘরের সীমানা অতিক্রম করে উদাত্ত প্রকৃতিতে। সাধারণ মানুষের সান্নিধ্যে। ‘বনফুল’ থেকে ‘ভানুসিংহের পদাবলী’ সেই কৈশোর-ই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল কাব্যের আলোকোজ্জ্বল পথে। তারপর ‘কথা ও। কাহিনী’, ‘কড়ি ও কোমল’ হয়ে ‘মানসীর’, অসীমের প্রেমাভিলাষ শেষ পর্যন্ত গিয়ে পৌছেছে ‘সোনার তরী’র উদার বিস্তৃত প্রকৃতির মাঝে জীবন জিজ্ঞাসায়। প্রথম পর্বের আলোচনা এভাবেই এগিয়েছে সম্মুখে।
কবিতার সঙ্গে নাড়ীর টান। রক্তের স্রোতে যেন কেবলি কবিতার প্রবাহিত সংগীতের মাধুর্য চেতনাকে আবিষ্ট করে রাখে। জন্ম উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। বাবার চাকরির সুত্রে শৈশব কাটে উত্তরবঙ্গে, তারপর আসামের বরাক উপত্তকায় কৈশোর থেকে বর্তমান। কবিতার প্রতি ঐকান্তিক ভালবাসায় পি. এইচ.ডি.- গবেষণা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা নিয়েই। বরাকের বদরপুরের নবীন চন্দ্র কলেজে সহকারী অধ্যাপিক হিসেবে কর্মরত। লেখালিখি আর পড়াশোনাতেই জীবন-পথ পরিভ্রমণ। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রবীন্দ্রকাব্যের চলিষ্ণু’।