সময়ের অমেয় আঁধারে মনোজ মিত্র
- মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়
গ্রন্থ পরিচিতি : রবীন্দ্রনাথের পর বিশ্বনাট্যাঙ্গনে যে বাঙালি নাটককার নানা ভাষাভাষি মানুষের মনে ঘর বেঁধেছেন__তিনি মনোজ মিত্র। তার একশো পচিশটির মতো নাটক-নির্মাণে ও গদ্য রচনায় স্পষ্ট হয়েছে জীবনের এক উপকূল থেকে বহু উপকূলে দীর্ঘ যাত্রার পথরেখা। এ যেন বিশাল এক ্রন্মাণ্ড। দৃশ্যমান সরসতা, মায়াময় আবহ আর সৌন্দর্যচেতনার অনুধ্যান মনোজ মিত্রের নাটককে করে তুলেছে এত জনপ্রিয়। তার সৃজনের বহুকৌণিক ভাষ্য ও তার ফলিত প্রয়োগ আধুনিক মানুষকে এক নতুন সার্থক জীবন-সম্পর্কের সন্ধান দিয়েছে। সম্পাদক। মনোজ মিত্রের কর্মবুল জীবনের এক একটি দিককে উপলব্ধির বিশ্লেষণে তুলে ধরবার জন্য বেশ কয়েকজন বিদগ্ধ নাট্যানুরাগী লেখককে দিয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করিয়ে নিয়েছেন তিনি। ফলে মনোজ মিত্রের নাট সৃষ্টির একটি মৌলিক ও সার্বিক পরিচয় পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে।
অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্রগবেষক। চার দশক ধরে বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব মননশীলতায় সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব। হিন্দি ভাষাকে আয়ত্ত করেছেন মাতৃভাষার মতো। তার পি.এইচ.ডি. ও ডি.লিট. দুটি গবেষণাই হিন্দি ও বাংলা সাহিত্যের তুলনামূলক অধ্যয়ন। ভারত সরকারের । সংগীত নাটক আকাডেমির রাজ্য প্রতিনিধি ছিলেন দীর্ঘদিন, ছিলেন নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের কেন্দ্রিয় মুখপত্রের সম্পাদক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ—‘আনিয়াছি প্রবাসের সুখ’ (রবীন্দ্রজীবনে অখণ্ড বিহার), ‘মৃত্যুঞ্জয় রবীন্দ্র’, ‘না রাধা না রুক্মিণী’, ‘বহতা সময়ের গল্পচর্চা’, ‘সবুজ টিপ’, ‘হৃদয় অরণ্য’, ‘সে আমার সহোদর’ ইত্যাদি। প্রকাশিতব্য গ্রন্থ : ‘সন্ন্যাসী ও রাজা’ (স্বামী বিবেকানন্দ ও রাজা অজিত সিংহ), ‘রবীন্দ্রজীবনে উত্তরপ্রদেশ’ ইত্যাদি।