তিন যুগের বাংলা গান ও গীতিকার
- সম্পাদক অঞ্জন সেন
বাংলার প্রানকে খুঁজে পাওয়া যায় তার গানে। বাঙালির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে কীর্তন, কবিগান, শাক্তপদাবলী, টপ্পা, পাঁচালি, যাত্রাগীতি। আমরা জানি, উপনিবেশের আধুনিকতার মোহ উপেক্ষার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল পুরাতনী বাংলা গানের আশচর্য ভুবনকে। তিন যুগের হারিয়ে যাওয়া সেই গানের কলি আর গীতিকারদের কথা তুলে ধরে আলোচ্য বইটি যেন হয়ে উঠতে চাইছে বিকল্প এক ইতিহাসের ভাষ্য। শিল্প ও সাধকের সম্পর্কের সূত্রে যেখানে ধরা পড়েছে আবহমান জীবনচেতনা।
জন্ম ১৯৫১, কলকাতা। কবি, প্রাবন্ধিক, উত্তর আধুনিক সাহিত্য চেতনার অন্যতম প্রবক্তা। সাহিত্য ও শিল্পকলার জগতে সমানভাবে বিচরণ করেন। উচ্চাঙ্গ সংগীত ও লোকসংগীত সংগ্রহ করা তার নেশা। তিনটি সেমিস্টারে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রিত-লেখক হিসেবে বিশেষ বক্তৃতা দিয়েছেন। সংস্কৃতি মন্ত্রকের টেগোর ন্যাশনাল স্কলার ছিলেন। প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ৭০ এর ওপরে। সাহিত্যতত্ত্ব বিষয়ক পত্রিকা ‘গাঙ্গেয়পত্র’ সম্পাদনা করছেন ১৯৭৫ থেকে। পদ্ধতিগতভাবে সাহিত্যের ছাত্র না হলেও যাদবপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কলকাতা, দক্ষিণ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। ‘ভ্রমরা’ লোকসংগীত সংস্থার সভাপতি। ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রে’-এর সঙ্গে যুক্ত।